ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পুরো বিশ্ব সংকটের সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রোববার (৪ জুন) জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে এ আশঙ্কার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। অবস্থা মোকাবিলায় সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড অতিমারি ও যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যমন্দা, বিদ্যুতের ঘাটতি প্রতিটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। বিশ্ব পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকেও যেতে পারে। তাই আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।

দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকট নিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অভাবে উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপেও জ্বালানির অভাব, লোডশেডিং হচ্ছে। উন্নত দেশে মানুষ চাকরি হারাচ্ছে।

অবস্থার উত্তরণে সবাইকে সাধ্যমতো চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন জ্বালানি কেনাই মুশকিল। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কাতার ও ওমানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। জলবিদ্যুতের জন্যও চুক্তি হয়েছে। কয়লা কেনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

তবে সবাইকে বিদ্যুৎসহ সব ধরনের জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় ১০:৩৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পুরো বিশ্ব সংকটের সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রোববার (৪ জুন) জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে এ আশঙ্কার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। অবস্থা মোকাবিলায় সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড অতিমারি ও যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যমন্দা, বিদ্যুতের ঘাটতি প্রতিটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। বিশ্ব পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকেও যেতে পারে। তাই আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।

দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকট নিয়ে তিনি বলেন, যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অভাবে উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। ইউরোপেও জ্বালানির অভাব, লোডশেডিং হচ্ছে। উন্নত দেশে মানুষ চাকরি হারাচ্ছে।

অবস্থার উত্তরণে সবাইকে সাধ্যমতো চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন জ্বালানি কেনাই মুশকিল। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কাতার ও ওমানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। জলবিদ্যুতের জন্যও চুক্তি হয়েছে। কয়লা কেনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

তবে সবাইকে বিদ্যুৎসহ সব ধরনের জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।