ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

কপিলা চরিত্রে মানসী প্রকৃতি

জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। এই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ও নাটক। জেলে জীবনের সুখ-দুঃখের নিখুঁত রূপায়ণ ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। এ উপন্যাসের কুবের ও কপিলা চরিত্র দুটি এখনো মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।

সেই উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে সিনেমা নির্মাণ করেন গৌতম ঘোষ। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ এবং ভারতে যৌথভাবে এটি নির্মিত হয়। এতে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত প্রমূখ। এ সিনেমায় কপিলা চরিত্রে কলকাতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ব্যাপক প্রশংসিত হন।

‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের অনুপ্রেরণায় তরুণ নির্মাতা তারিক মুহাম্মদ হাসান নির্মাণ করছেন টেলিছবি ‘কুবের মাঝি’। এতে কপিলা চরিত্রে অভিনয় করছেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানসী প্রকৃতি।

সম্প্রতি ভোলার বিভিন্ন লোকেশনে টেলিছবিটির প্রথম ধাপের তিন দিনের চিত্রায়ণ হয়েছে। অচিরেই দ্বিতীয় ধাপের চিত্রায়ণ শুরু হবে। আসছে ঈদে টেলিছবিটি বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা।

কপিলা চরিত্র প্রসঙ্গে প্রকৃতি বলেন, উপন্যাসটি আমার খুব পছন্দের। এ উপন্যাস পড়ার পর গল্পের প্রতি একটা টান ছিল। যখন জানতে পারি আমি কপিলা চরিত্রে অভিনয় করছি আরও এক্সাইটেড ছিলাম। চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। ভয় ছিল কাজটি ঠিক মতো করতে পারব কিনা। রূপা দির কাজটি বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। সবকিছু মিলিয়ে বেশ প্রস্তুতি নিয়ে কাজটি করতে হয়েছে। নিজের সেরাটা দিয়ে চরিত্রটি করছি।

যোগ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সাঁতার জানি না তারপরও বড় একটি নদীতে নামতে হয়েছিল। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় পানিতে ভিজে একটি সিন করতে হয়। এতে আমার জ্বর ও ঠান্ডা লেগে যায়। তবুও কাজে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেইনি। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে একটা সিনে এক পর্যায়ে নৌকা থেকে পানিতে লাফ দিতে হবে। সিনটা ছিল ডুবে যাওয়ার। আমি নৌকা থেকে লাফ দিয়ে ডুবে যাচ্ছি তা দেখে এক জেলে ছুটে আসে আমাকে বাঁচাতে। তিনি ভেবেছিলেন সত্যি সত্যি আমি ডুবে যাচ্ছি। কাজটি করতে গিয়ে এরকম অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রচণ্ড গরম-রোদ উপেক্ষা করে কাজটি ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমরা সবাই পরিশ্রম করেছি। নির্মাতা সিনেম্যাটিক ভাবে কাজটি নির্মাণ করছেন। এটি যদি সিনেমা হলেও মুক্তি দেওয়া হয় দর্শক ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আশা করছি, ‘কুবের মাঝি’ সবাই পছন্দ করবে। আমি কপিলা চরিত্রটি নিয়ে বেশ আশাবাদী।

‘কুবের মাঝি’ যেন পদ্মা পাড়ের জেলে জীবনের সুখ-দুঃখের নিঁখুত রূপায়ন। টেলিছবিটিতে মাঝি চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক শিপন মিত্র, মালা চরিত্রে চিত্রনায়িকা আঁচল, ললিতা চরিত্রে সঞ্জিতা দত্ত। এছাড়াও আছেন টুটুল চৌধুরী, কাকা মাসুদ সহ আরও অনেকে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

কপিলা চরিত্রে মানসী প্রকৃতি

আপডেট সময় ০৪:১৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। এই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ও নাটক। জেলে জীবনের সুখ-দুঃখের নিখুঁত রূপায়ণ ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। এ উপন্যাসের কুবের ও কপিলা চরিত্র দুটি এখনো মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।

সেই উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে সিনেমা নির্মাণ করেন গৌতম ঘোষ। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ এবং ভারতে যৌথভাবে এটি নির্মিত হয়। এতে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত প্রমূখ। এ সিনেমায় কপিলা চরিত্রে কলকাতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ব্যাপক প্রশংসিত হন।

‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের অনুপ্রেরণায় তরুণ নির্মাতা তারিক মুহাম্মদ হাসান নির্মাণ করছেন টেলিছবি ‘কুবের মাঝি’। এতে কপিলা চরিত্রে অভিনয় করছেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানসী প্রকৃতি।

সম্প্রতি ভোলার বিভিন্ন লোকেশনে টেলিছবিটির প্রথম ধাপের তিন দিনের চিত্রায়ণ হয়েছে। অচিরেই দ্বিতীয় ধাপের চিত্রায়ণ শুরু হবে। আসছে ঈদে টেলিছবিটি বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা।

কপিলা চরিত্র প্রসঙ্গে প্রকৃতি বলেন, উপন্যাসটি আমার খুব পছন্দের। এ উপন্যাস পড়ার পর গল্পের প্রতি একটা টান ছিল। যখন জানতে পারি আমি কপিলা চরিত্রে অভিনয় করছি আরও এক্সাইটেড ছিলাম। চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। ভয় ছিল কাজটি ঠিক মতো করতে পারব কিনা। রূপা দির কাজটি বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। সবকিছু মিলিয়ে বেশ প্রস্তুতি নিয়ে কাজটি করতে হয়েছে। নিজের সেরাটা দিয়ে চরিত্রটি করছি।

যোগ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সাঁতার জানি না তারপরও বড় একটি নদীতে নামতে হয়েছিল। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় পানিতে ভিজে একটি সিন করতে হয়। এতে আমার জ্বর ও ঠান্ডা লেগে যায়। তবুও কাজে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেইনি। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে একটা সিনে এক পর্যায়ে নৌকা থেকে পানিতে লাফ দিতে হবে। সিনটা ছিল ডুবে যাওয়ার। আমি নৌকা থেকে লাফ দিয়ে ডুবে যাচ্ছি তা দেখে এক জেলে ছুটে আসে আমাকে বাঁচাতে। তিনি ভেবেছিলেন সত্যি সত্যি আমি ডুবে যাচ্ছি। কাজটি করতে গিয়ে এরকম অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রচণ্ড গরম-রোদ উপেক্ষা করে কাজটি ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমরা সবাই পরিশ্রম করেছি। নির্মাতা সিনেম্যাটিক ভাবে কাজটি নির্মাণ করছেন। এটি যদি সিনেমা হলেও মুক্তি দেওয়া হয় দর্শক ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আশা করছি, ‘কুবের মাঝি’ সবাই পছন্দ করবে। আমি কপিলা চরিত্রটি নিয়ে বেশ আশাবাদী।

‘কুবের মাঝি’ যেন পদ্মা পাড়ের জেলে জীবনের সুখ-দুঃখের নিঁখুত রূপায়ন। টেলিছবিটিতে মাঝি চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক শিপন মিত্র, মালা চরিত্রে চিত্রনায়িকা আঁচল, ললিতা চরিত্রে সঞ্জিতা দত্ত। এছাড়াও আছেন টুটুল চৌধুরী, কাকা মাসুদ সহ আরও অনেকে।