ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

কপিলা চরিত্রে মানসী প্রকৃতি

জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। এই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ও নাটক। জেলে জীবনের সুখ-দুঃখের নিখুঁত রূপায়ণ ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। এ উপন্যাসের কুবের ও কপিলা চরিত্র দুটি এখনো মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।

সেই উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে সিনেমা নির্মাণ করেন গৌতম ঘোষ। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ এবং ভারতে যৌথভাবে এটি নির্মিত হয়। এতে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত প্রমূখ। এ সিনেমায় কপিলা চরিত্রে কলকাতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ব্যাপক প্রশংসিত হন।

‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের অনুপ্রেরণায় তরুণ নির্মাতা তারিক মুহাম্মদ হাসান নির্মাণ করছেন টেলিছবি ‘কুবের মাঝি’। এতে কপিলা চরিত্রে অভিনয় করছেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানসী প্রকৃতি।

সম্প্রতি ভোলার বিভিন্ন লোকেশনে টেলিছবিটির প্রথম ধাপের তিন দিনের চিত্রায়ণ হয়েছে। অচিরেই দ্বিতীয় ধাপের চিত্রায়ণ শুরু হবে। আসছে ঈদে টেলিছবিটি বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা।

কপিলা চরিত্র প্রসঙ্গে প্রকৃতি বলেন, উপন্যাসটি আমার খুব পছন্দের। এ উপন্যাস পড়ার পর গল্পের প্রতি একটা টান ছিল। যখন জানতে পারি আমি কপিলা চরিত্রে অভিনয় করছি আরও এক্সাইটেড ছিলাম। চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। ভয় ছিল কাজটি ঠিক মতো করতে পারব কিনা। রূপা দির কাজটি বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। সবকিছু মিলিয়ে বেশ প্রস্তুতি নিয়ে কাজটি করতে হয়েছে। নিজের সেরাটা দিয়ে চরিত্রটি করছি।

যোগ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সাঁতার জানি না তারপরও বড় একটি নদীতে নামতে হয়েছিল। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় পানিতে ভিজে একটি সিন করতে হয়। এতে আমার জ্বর ও ঠান্ডা লেগে যায়। তবুও কাজে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেইনি। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে একটা সিনে এক পর্যায়ে নৌকা থেকে পানিতে লাফ দিতে হবে। সিনটা ছিল ডুবে যাওয়ার। আমি নৌকা থেকে লাফ দিয়ে ডুবে যাচ্ছি তা দেখে এক জেলে ছুটে আসে আমাকে বাঁচাতে। তিনি ভেবেছিলেন সত্যি সত্যি আমি ডুবে যাচ্ছি। কাজটি করতে গিয়ে এরকম অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রচণ্ড গরম-রোদ উপেক্ষা করে কাজটি ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমরা সবাই পরিশ্রম করেছি। নির্মাতা সিনেম্যাটিক ভাবে কাজটি নির্মাণ করছেন। এটি যদি সিনেমা হলেও মুক্তি দেওয়া হয় দর্শক ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আশা করছি, ‘কুবের মাঝি’ সবাই পছন্দ করবে। আমি কপিলা চরিত্রটি নিয়ে বেশ আশাবাদী।

‘কুবের মাঝি’ যেন পদ্মা পাড়ের জেলে জীবনের সুখ-দুঃখের নিঁখুত রূপায়ন। টেলিছবিটিতে মাঝি চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক শিপন মিত্র, মালা চরিত্রে চিত্রনায়িকা আঁচল, ললিতা চরিত্রে সঞ্জিতা দত্ত। এছাড়াও আছেন টুটুল চৌধুরী, কাকা মাসুদ সহ আরও অনেকে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

কপিলা চরিত্রে মানসী প্রকৃতি

আপডেট সময় ০৪:১৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত কালজয়ী উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। এই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ও নাটক। জেলে জীবনের সুখ-দুঃখের নিখুঁত রূপায়ণ ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। এ উপন্যাসের কুবের ও কপিলা চরিত্র দুটি এখনো মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে।

সেই উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে সিনেমা নির্মাণ করেন গৌতম ঘোষ। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ এবং ভারতে যৌথভাবে এটি নির্মিত হয়। এতে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত প্রমূখ। এ সিনেমায় কপিলা চরিত্রে কলকাতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ব্যাপক প্রশংসিত হন।

‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসের অনুপ্রেরণায় তরুণ নির্মাতা তারিক মুহাম্মদ হাসান নির্মাণ করছেন টেলিছবি ‘কুবের মাঝি’। এতে কপিলা চরিত্রে অভিনয় করছেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানসী প্রকৃতি।

সম্প্রতি ভোলার বিভিন্ন লোকেশনে টেলিছবিটির প্রথম ধাপের তিন দিনের চিত্রায়ণ হয়েছে। অচিরেই দ্বিতীয় ধাপের চিত্রায়ণ শুরু হবে। আসছে ঈদে টেলিছবিটি বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাতা।

কপিলা চরিত্র প্রসঙ্গে প্রকৃতি বলেন, উপন্যাসটি আমার খুব পছন্দের। এ উপন্যাস পড়ার পর গল্পের প্রতি একটা টান ছিল। যখন জানতে পারি আমি কপিলা চরিত্রে অভিনয় করছি আরও এক্সাইটেড ছিলাম। চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। ভয় ছিল কাজটি ঠিক মতো করতে পারব কিনা। রূপা দির কাজটি বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। সবকিছু মিলিয়ে বেশ প্রস্তুতি নিয়ে কাজটি করতে হয়েছে। নিজের সেরাটা দিয়ে চরিত্রটি করছি।

যোগ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সাঁতার জানি না তারপরও বড় একটি নদীতে নামতে হয়েছিল। ২ ঘণ্টারও বেশি সময় পানিতে ভিজে একটি সিন করতে হয়। এতে আমার জ্বর ও ঠান্ডা লেগে যায়। তবুও কাজে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেইনি। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে একটা সিনে এক পর্যায়ে নৌকা থেকে পানিতে লাফ দিতে হবে। সিনটা ছিল ডুবে যাওয়ার। আমি নৌকা থেকে লাফ দিয়ে ডুবে যাচ্ছি তা দেখে এক জেলে ছুটে আসে আমাকে বাঁচাতে। তিনি ভেবেছিলেন সত্যি সত্যি আমি ডুবে যাচ্ছি। কাজটি করতে গিয়ে এরকম অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রচণ্ড গরম-রোদ উপেক্ষা করে কাজটি ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমরা সবাই পরিশ্রম করেছি। নির্মাতা সিনেম্যাটিক ভাবে কাজটি নির্মাণ করছেন। এটি যদি সিনেমা হলেও মুক্তি দেওয়া হয় দর্শক ইতিবাচক ভাবে গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আশা করছি, ‘কুবের মাঝি’ সবাই পছন্দ করবে। আমি কপিলা চরিত্রটি নিয়ে বেশ আশাবাদী।

‘কুবের মাঝি’ যেন পদ্মা পাড়ের জেলে জীবনের সুখ-দুঃখের নিঁখুত রূপায়ন। টেলিছবিটিতে মাঝি চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক শিপন মিত্র, মালা চরিত্রে চিত্রনায়িকা আঁচল, ললিতা চরিত্রে সঞ্জিতা দত্ত। এছাড়াও আছেন টুটুল চৌধুরী, কাকা মাসুদ সহ আরও অনেকে।