ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শুকরিয়া বেঁচে আছি, মানুষের সেবা করতে পারছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বীকৃতি পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন । বলেছেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া গ্রেনেড-বোমার মুখোমুখি হয়েও বেঁচে আছি, মানুষের সেবা করতে পারছি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধন্যবাদ আমার দেশবাসীকে, তারা যদি বার বার ভোট না দিতো, আর আমাকে সেবা করার সুযোগ না দিতো আমি তো আসতে পারতাম না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, গ্রেনেড-বোমা-গুলি সব কিছু মুখোমুখি হয়েও আমি বেঁচেও আছি এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। ’

মঙ্গলবার, ১৬ মে সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজোল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। জাতিসংঘের ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র এ রেজোল্যুশনটি কো-স্পন্সর করে।

রেজোল্যুশনটির শিরোনাম ছিল- ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি। ’ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত এ রেজোল্যুশন কো-স্পন্সর করা দেশগুলোকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা আমরা সকলের সঙ্গে শেয়ার করবো। অনেক দেশ এভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারেনি তাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা নিতে আসে সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।

২০০১ সালে দোরগোড়ায় ক্ষমতায় এসে এটা বন্ধ করে দিল। তাদের বন্ধ করার যুক্তি হলো, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ যদি চিকিৎসা সেবা নেয় তাহলে সবাই নৌকায় ভোট দেবে। তাদের কেউ ভোট দেবে না এজন্য বন্ধ করে দিল। আমার খুব কষ্ট লাগলো, আমরা যে ক্লিনিক করলাম সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসা নেবে না। জনগণ সেবা পাবে। সাধারণ মানুষ সেবা পাবে। ওইসব এলাকায় অন্য দলের সমর্থক আছে না? তাহলে বন্ধ কেন করলো?

এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরুর কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রায় ১১ হাজার ঘর করেছিলাম। তার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করে দিলাম। চালু করার ১ বছর পর আমরা একটা সার্ভে করলাম। যে এটা যে করে দিলাম রেজাল্ট কি আসে। মানুষ কতটুকু লাভবান হয়। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক থেকে শুরু করে অনেকে এগিয়ে এলো। এক বছর পর আমরা একটা জরিপ করলাম। তাতে দেখা গেল ৭০ শতাংশের ওপর এর সাফল্য। আমরা আরও উৎসাহিত হলাম যে ৪ হাজার চালুর পর, ১১ হাজার চালু করে দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করার সাথে সাথে আমাদের পাঁচ বছর সময় শেষ।

ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক যাতে কেউ বন্ধ করতে না পারে সে জন্য ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে এটিকে একটি ট্রাস্টের আওতায় দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্র জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে যে বার্তা দিলেন মাহফুজ

শুকরিয়া বেঁচে আছি, মানুষের সেবা করতে পারছি : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:১৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বীকৃতি পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন । বলেছেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া গ্রেনেড-বোমার মুখোমুখি হয়েও বেঁচে আছি, মানুষের সেবা করতে পারছি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধন্যবাদ আমার দেশবাসীকে, তারা যদি বার বার ভোট না দিতো, আর আমাকে সেবা করার সুযোগ না দিতো আমি তো আসতে পারতাম না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, গ্রেনেড-বোমা-গুলি সব কিছু মুখোমুখি হয়েও আমি বেঁচেও আছি এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। ’

মঙ্গলবার, ১৬ মে সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজোল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে। জাতিসংঘের ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র এ রেজোল্যুশনটি কো-স্পন্সর করে।

রেজোল্যুশনটির শিরোনাম ছিল- ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি। ’ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত এ রেজোল্যুশন কো-স্পন্সর করা দেশগুলোকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা আমরা সকলের সঙ্গে শেয়ার করবো। অনেক দেশ এভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারেনি তাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা নিতে আসে সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।

২০০১ সালে দোরগোড়ায় ক্ষমতায় এসে এটা বন্ধ করে দিল। তাদের বন্ধ করার যুক্তি হলো, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মানুষ যদি চিকিৎসা সেবা নেয় তাহলে সবাই নৌকায় ভোট দেবে। তাদের কেউ ভোট দেবে না এজন্য বন্ধ করে দিল। আমার খুব কষ্ট লাগলো, আমরা যে ক্লিনিক করলাম সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসা নেবে না। জনগণ সেবা পাবে। সাধারণ মানুষ সেবা পাবে। ওইসব এলাকায় অন্য দলের সমর্থক আছে না? তাহলে বন্ধ কেন করলো?

এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরুর কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রায় ১১ হাজার ঘর করেছিলাম। তার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করে দিলাম। চালু করার ১ বছর পর আমরা একটা সার্ভে করলাম। যে এটা যে করে দিলাম রেজাল্ট কি আসে। মানুষ কতটুকু লাভবান হয়। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক থেকে শুরু করে অনেকে এগিয়ে এলো। এক বছর পর আমরা একটা জরিপ করলাম। তাতে দেখা গেল ৭০ শতাংশের ওপর এর সাফল্য। আমরা আরও উৎসাহিত হলাম যে ৪ হাজার চালুর পর, ১১ হাজার চালু করে দেওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করার সাথে সাথে আমাদের পাঁচ বছর সময় শেষ।

ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক যাতে কেউ বন্ধ করতে না পারে সে জন্য ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে এটিকে একটি ট্রাস্টের আওতায় দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন সরকার প্রধান।

আমাদের মাতৃভূমি/মাজহারুল