ঢাকা ১০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানবজাতির মুক্তির দিশারি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আবুল হাশেম বক্কর বি আর টি সির চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে সেমিনারে অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী ভুয়া ঠিকানায় নিরাপত্তা ছাড়পত্রের চেষ্টা গণপূর্তের প্রকৌশলী রাজু আহমেদের পটুয়াখালীতে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ২০ দিন কারাদন্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত একমঞ্চে গাইবেন আতিফ আসলাম ও তাহসান ভোজ্যতেলে ভ্যাট ছাড় দিল এনবিআর শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার রাকুলের পোশাকটি কেমন হবে, পরামর্শ দিতেন বাবা
গোয়াইনঘাটের চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারছেন না

গোয়াইনঘাটের খাদ্য গুদামে অবৈধ ২৬০ বস্তা ধান জব্দ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা খাদ্য গুদামে ট্রাক যোগে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ২৬০ বস্থা ধান অবৈধভাবে মজুদের সময় স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ জব্দ করেছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলায় চলতি বছর বোরোধান সংগ্রহের শুরুতেই সুনামগঞ্জ থেকেই ধান ক্রয় করে খাদ্য গুদামে মজুদ কালে ২৬০বস্থা ধান জব্দ করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গোয়াইনঘাটের কৃষকরা তাদের ধান বিক্রি করতে পারছেন না বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দূর্নিতীর কারনে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান না ক্রয় করে নিজেরাই ব্যাবসায় জড়িত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় এবছর ৭শত মেট্রিক টনেরও বেশি বোরোধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা কৌশলে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান ক্রয় না করে ফিরিয়ে দেন। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছে গোয়াইনঘাটের কৃষকরা। গুদামের দ্বায়িত্বে থাকা ওসিএলএসডি পলি দাস তাহার নিজ এলাকা সুনামগঞ্জ থেকে ধান ক্রয় করে গুদামে মজুদ করতে শুরু করেন। মঙ্গলবার (১৬মে) সকাল ১০টায় উপজেলার পূর্নানগর খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায় ট্রাকবর্তী ধান গুদামে লোড করা হচ্ছে। এলাকার কৃষককুল ঐ সংবাদের খবর পেয়ে পূর্নানগর খাদ্যগুদামে জড়ো হন। ঐসময় খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কাউকে সেখানে দেখা যায় নি।

অবৈধভাবে খাদ্য গুদামে ধান মজুদের খবরটি এলাকায় চাউর হলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ উপস্থিত হয়ে ধানগুলো জব্দ করেন। তিনি বলেন ২৬০বস্তা ধান জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন,  ধানগুলো সুনামগঞ্জ থেকে এসেছে ঐ সত্যতা আমি পেয়েছি।

এ ব্যাপারে ওসিএলএসডি পলি দাসের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমি সিলেট জেলা অফিসে একটা মিটিংয়ে আছি, ধানের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন ধানগুলো কৃষকরাই দিয়েছে সুনামগঞ্জের নয় ! তিনি মুঠোফোনে বার বার আমাদের সাথে দেখা করার কথা বলেন। অতচ ট্রাকের হেলপার সাবুল বলেন ২৬০বস্থা ধান ১০হাজার টাকা ভাড়ায় সুনামগঞ্জ থেকে গোয়াইনঘাটে নিয়ে এসেছি। ধানগুলো কে আনিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার (ওস্তাদ) ড্রাইভার বলতে পারবেন। ঐ সময় ট্রাকের চালকে পাওয়া যায় নি।

উপস্থিত গোয়াইনঘাটের কৃষকরা জানান, আমরা গুদামে ধান নিয়ে আসলে ওসিএলএসডি পলি দাস আমাদের ধান রাখেন না, নানা কৌশলে আমাদের ফিরে দেন। পেঠের দ্বায়ে নিরুপায় হয়ে ন্যায্য মূল্যের কমে ধানগুলো স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে বাধ্য হই।

এব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি তদন্ত করে দেখা হবে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষকদের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির সু- ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মানবজাতির মুক্তির দিশারি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আবুল হাশেম বক্কর

গোয়াইনঘাটের চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারছেন না

গোয়াইনঘাটের খাদ্য গুদামে অবৈধ ২৬০ বস্তা ধান জব্দ

আপডেট সময় ১২:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা খাদ্য গুদামে ট্রাক যোগে সুনামগঞ্জ থেকে আসা ২৬০ বস্থা ধান অবৈধভাবে মজুদের সময় স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ জব্দ করেছেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলায় চলতি বছর বোরোধান সংগ্রহের শুরুতেই সুনামগঞ্জ থেকেই ধান ক্রয় করে খাদ্য গুদামে মজুদ কালে ২৬০বস্থা ধান জব্দ করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গোয়াইনঘাটের কৃষকরা তাদের ধান বিক্রি করতে পারছেন না বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দূর্নিতীর কারনে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান না ক্রয় করে নিজেরাই ব্যাবসায় জড়িত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় এবছর ৭শত মেট্রিক টনেরও বেশি বোরোধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা কৌশলে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান ক্রয় না করে ফিরিয়ে দেন। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছে গোয়াইনঘাটের কৃষকরা। গুদামের দ্বায়িত্বে থাকা ওসিএলএসডি পলি দাস তাহার নিজ এলাকা সুনামগঞ্জ থেকে ধান ক্রয় করে গুদামে মজুদ করতে শুরু করেন। মঙ্গলবার (১৬মে) সকাল ১০টায় উপজেলার পূর্নানগর খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায় ট্রাকবর্তী ধান গুদামে লোড করা হচ্ছে। এলাকার কৃষককুল ঐ সংবাদের খবর পেয়ে পূর্নানগর খাদ্যগুদামে জড়ো হন। ঐসময় খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কাউকে সেখানে দেখা যায় নি।

অবৈধভাবে খাদ্য গুদামে ধান মজুদের খবরটি এলাকায় চাউর হলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ উপস্থিত হয়ে ধানগুলো জব্দ করেন। তিনি বলেন ২৬০বস্তা ধান জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন,  ধানগুলো সুনামগঞ্জ থেকে এসেছে ঐ সত্যতা আমি পেয়েছি।

এ ব্যাপারে ওসিএলএসডি পলি দাসের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমি সিলেট জেলা অফিসে একটা মিটিংয়ে আছি, ধানের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন ধানগুলো কৃষকরাই দিয়েছে সুনামগঞ্জের নয় ! তিনি মুঠোফোনে বার বার আমাদের সাথে দেখা করার কথা বলেন। অতচ ট্রাকের হেলপার সাবুল বলেন ২৬০বস্থা ধান ১০হাজার টাকা ভাড়ায় সুনামগঞ্জ থেকে গোয়াইনঘাটে নিয়ে এসেছি। ধানগুলো কে আনিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার (ওস্তাদ) ড্রাইভার বলতে পারবেন। ঐ সময় ট্রাকের চালকে পাওয়া যায় নি।

উপস্থিত গোয়াইনঘাটের কৃষকরা জানান, আমরা গুদামে ধান নিয়ে আসলে ওসিএলএসডি পলি দাস আমাদের ধান রাখেন না, নানা কৌশলে আমাদের ফিরে দেন। পেঠের দ্বায়ে নিরুপায় হয়ে ন্যায্য মূল্যের কমে ধানগুলো স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে বাধ্য হই।

এব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি তদন্ত করে দেখা হবে।

গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষকদের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির সু- ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।