আগামী তিন দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তার নাম হবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ৭ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ সৃষ্টির পর এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলেও আভাস দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে আগামী তিন দিনে সারা দেশে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা কমে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসময়ের মধ্যে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ভোলায় ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৫১ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম সকালে এক পূর্বাভাসে দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়-বৃষ্টি হবে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।