হবিগঞ্জের বাহুবলে ঈদের মাঠ বইছে নির্বাচনী হাওয়া। যদিও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অনেক বাকি তবুও রমজানের ইফতার ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান আবার কেউ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিবার্চন করার ঘোষণা দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।সরেজমিনে দেখা যায়,প্রার্থীরা নিয়মিত নিজ নিজ এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন এবং প্রার্থীরা প্রাক্-প্রস্তুতি হিসেবে ইফতার মাহফিল সহ নানা ধর্মীয় ও আচার-অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও হাটবাজারে আড্ডায় উপস্থিত থাকছেন এবং দোয়া ও সহযোগীতা চেয়ে যাচ্ছেন ।
এছাড়া নতুনেরা প্রচার-প্রচারণা চালালেও প্রবীণেরা প্রায় নিরব ভূমিকায় রয়েছেন। এই সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রাজন চৌধুরী নামে এক রীর মুক্তিযুদ্ধা মরহুম কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী বড় ছেলে, মরহুম দেওয়ান লুৎফা হক চৌধুরীর নাম বেড়িয়ে আসছে। তিনি উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। এমতাবস্থায়,ক্রমান্বয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক,জেলা কৃষকলীগের ত্রান সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি ২০০৫ সালে বৈদ্যার বাজারে গ্রেনেড হামলা আহত হয়ে প্রথমে ঢাকা,কলকাতা ও লন্ডনের কিংস হাসপাতালে ৫ বছর চিকিৎসা নিয়ে সুস্ত হয়ে উঠেন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও রোটারী ক্লাবের সাথে একনিষ্ঠভাবে জড়িত।
এদিকে, হাফেজ আব্দুর রকিবও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নাম আসছে। সে বাহুবল কলেজের দাতা সদস্য প্রাক্তন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব জমর উদ্দিনের পুত্র এবং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক,সংস্কৃতি সংগঠনের সদালাপী এক ব্যক্তি। অপরদিকে, উপজেলার সর্বত্র পরিচিত মুখ শামীনুর রহমান (শামীম) নামে এক উদীয়মান রাজনৈতিক কর্মীও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দোয়া চেয়েছেন। সে উপজেলার লালটিলা গ্রামের বাসিন্দা এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের উপজেলা সভাপতি ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক মাঠ কাঁপানো তরুন বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে সর্বদিক পরিচিত। কমবয়সী হলেও অল্পদিনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে, বিভিন্ন সভা-সমাবেশ অনুষ্টানের সাড়া জাগানো ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত এক প্রাণ। আওয়ামী রাজনৈতিক আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
অন্যদিকে,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে হাসিনা আক্তার নামে এক নারী প্রার্থীর নাম আসছে। ওই নারী উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জাতীয় মহিলা পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা মহিলা পার্টির সভাপতি। গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে সক্ষম হয়েছিল। এবারের নির্বাচনেও প্রচার-প্রচারণায় তার নাম রয়েছে। এছাড়া সর্বত্র উপজেলাবাসীর যেকোন সমস্যায় এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া, শেখ শাহরিয়ার আহমেদ সুজাত নামে আরও এক ব্যক্তিকেও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি জাতীয় শ্রমিকলীগের বাহুবল উপজেলা শাখার অর্থ সম্পাদক এবং উত্তরসুর গ্রামের বাসিন্দা।