ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে বিএনপি। এ সময় তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহযোগিতা প্রদান করে। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের পরিবারকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলীয় ফান্ড থেকে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হয়। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হাবিবুর রহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাইফুল আলম কদর এই দুই পরিবারের জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী অনির্বাচিত সরকারের হাতে নিহত আব্দুর রহিম ও নুরে আলমের রক্ত কখনো আমরা বৃথা যেতে দেব না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিতে চাই যে, বিএনপি সবসময় এই শহীদ পরিবারের পাশে থাকবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান সবসময় তাদের খোঁজ-খবর রাখছেন। তিনি আরও বলেন, আমি ভোলার নেতাদেরকে বলব, তারা যেন এই শহীদ পরিবারের পাশে থাকেন।
গত ৩১ জুলাই জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জেলার সমাবেশে পুলিশ হামলা চালালে তাদের গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় আব্দুর রহিম। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে আসার পর গত ৩ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরে আলম।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বিএনপির জেলা সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম এবং নুরে আলমের স্ত্রী ইফফাত জাহান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, হাফিজ ইব্রাহিম, বিলকিস জাহান শিরিন, শরিফুল আলম, হায়দার আলী লেলিন, ছাত্রদলের রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ, জেলা বিএনপির হারুন অর রশীদ, আসিফ আলতাফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।