ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাম বাড়ল সারের

ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এ মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বাড়ার কারণে আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারের মূল্য পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদেশ জারির তারিখ থেকে সারের মূল্য বৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে এতে।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না।

সারের মজুতের পরিমাণের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘৪ লাখ টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। এছাড়া টিএসপি সার রয়েছে দুই লাখ টন, ডিএপি সার আড়াই লাখ টন এবং এমওপি সার সোয়া দুই লাখ টন। গত বছরের তুলনায় সব সারের পরিমাণই কিছুটা কম রয়েছে।’

সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সে লক্ষ্যেই আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন, টিএসপি সার সাড়ে ৭ লাখ টন ও এমওপি সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন। এছাড়া আমাদের ডিএপি সার প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টন। কিন্তু এ সারের দাম কমানোর জন্য ১৬ লাখ টন চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দাম বাড়ল সারের

আপডেট সময় ১২:৩২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এ মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বাড়ার কারণে আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারের মূল্য পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদেশ জারির তারিখ থেকে সারের মূল্য বৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে এতে।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না।

সারের মজুতের পরিমাণের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘৪ লাখ টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। এছাড়া টিএসপি সার রয়েছে দুই লাখ টন, ডিএপি সার আড়াই লাখ টন এবং এমওপি সার সোয়া দুই লাখ টন। গত বছরের তুলনায় সব সারের পরিমাণই কিছুটা কম রয়েছে।’

সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পায়, সে লক্ষ্যেই আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবুও আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন, টিএসপি সার সাড়ে ৭ লাখ টন ও এমওপি সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন। এছাড়া আমাদের ডিএপি সার প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টন। কিন্তু এ সারের দাম কমানোর জন্য ১৬ লাখ টন চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।’