ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিধি অমান্য করে সওজে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ : তদন্ত করছে সড়ক বিভাগ

নিয়োগ বিধিমালা অমান্য করে উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে ৪৯ জনকে বাড়তি পদোন্নতি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। এ অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি।

গত ২৪ জানুয়ারি সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে পদোন্নতি পান নিম্ন পদে কর্মরত ১০০ জন। এরমধ্যে ৫৭ জন সার্ভেয়ার, ৩১ জন ড্রাফটসম্যান ও ১২ জন ওয়ার্ক সুপারভাইজার। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরেক আদেশের মাধ্যমে ৫০ জনকে সওজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে পদায়ন করা হয়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (নন-ক্যাডার গেজেটেড ও নন-গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট পদের ৮৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। বাকি ১৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা যাবে।

বর্তমানে সওজে মোট ৬৩৫টি উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদ রয়েছে। নিয়োগবিধি অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ হিসেবে ৬৩৫টি পদের বিপরীতে পদোন্নতি পেতে পারেন ৯৫ জন। ইতোমধ্যে পদোন্নতি পাওয়া ৪৪ জন এ পদে কর্মরত রয়েছেন। নতুন করে ৫১ জনের বেশির পদোন্নতির সুযোগ না থাকলেও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ৪৯ জনকে বাড়তি পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত সোমবার (১৩ মার্চ) তদন্ত কমিটির সদস্যরা সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (প্রশাসন) অফিস কক্ষে সরেজমিনে তদন্ত করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তদন্ত শেষে আমরা সচিব বরাবর প্রতিবেদন জমা দেব।

এদিকে, বিধি অমান্য করে পদোন্নতি দেওয়ার পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এসব অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, যারা এ অনিয়ম করেছে, তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। নইলে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি হবেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিধি অমান্য করে সওজে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ : তদন্ত করছে সড়ক বিভাগ

আপডেট সময় ১১:২৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

নিয়োগ বিধিমালা অমান্য করে উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে ৪৯ জনকে বাড়তি পদোন্নতি দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। এ অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি।

গত ২৪ জানুয়ারি সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে পদোন্নতি পান নিম্ন পদে কর্মরত ১০০ জন। এরমধ্যে ৫৭ জন সার্ভেয়ার, ৩১ জন ড্রাফটসম্যান ও ১২ জন ওয়ার্ক সুপারভাইজার। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরেক আদেশের মাধ্যমে ৫০ জনকে সওজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে পদায়ন করা হয়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (নন-ক্যাডার গেজেটেড ও নন-গেজেটেড কর্মকর্তা/কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট পদের ৮৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। বাকি ১৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা যাবে।

বর্তমানে সওজে মোট ৬৩৫টি উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদ রয়েছে। নিয়োগবিধি অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ হিসেবে ৬৩৫টি পদের বিপরীতে পদোন্নতি পেতে পারেন ৯৫ জন। ইতোমধ্যে পদোন্নতি পাওয়া ৪৪ জন এ পদে কর্মরত রয়েছেন। নতুন করে ৫১ জনের বেশির পদোন্নতির সুযোগ না থাকলেও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ৪৯ জনকে বাড়তি পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত সোমবার (১৩ মার্চ) তদন্ত কমিটির সদস্যরা সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (প্রশাসন) অফিস কক্ষে সরেজমিনে তদন্ত করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তদন্ত শেষে আমরা সচিব বরাবর প্রতিবেদন জমা দেব।

এদিকে, বিধি অমান্য করে পদোন্নতি দেওয়ার পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এসব অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, যারা এ অনিয়ম করেছে, তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। নইলে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি হবেই।