ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নাভারণে সহপাঠীর বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে উদ্ধার হলো নিখোঁজ ছাত্রীর লাশ, সহপাঠী সহ আটক ৩

  • জহিরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬১৭ বার পড়া হয়েছে

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে সহপাঠীর বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে নিখোঁজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৬ যশোর। নিহত শিক্ষার্থী যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ৪র্থ বর্ষের মেধাবি ছাত্রী জেসমিন আক্তার পিংকি। হত্যাকারী তার সহপাঠী।

শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় শার্শা উপজেলার নাভারণ দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের রুমেল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হত্যাকারী আহসান কবির অংকুর বড় ভাই রুমেল ও সৎ মা হোসনেয়ারাকে আটক করেছে  র‍্যাব-৬।

মুল হত্যাকারী আহসান কবির অংকুর দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের আকবার আলীর ছেলে এবং নিহত জেসমিন আক্তার পিংকি কলারোয়া উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আকিকুর রহমান বলেন, আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিংকির মৃত দেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই এক সহপাঠী আহসান কবির অঙ্কুরের বাসাতে আছে। এ সময় চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে আমরা সেফটি ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির মৃত দেহটি খুঁজে পায়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেফটি ট্যাংকের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়।

যশোর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৬) এর কোম্পানী লে: কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবির অঙ্কুর নামে তার এক সহপাঠীকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারী থেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে মেয়েটির পরিবার। যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করলে র‍্যাব ছাঁয়া তদন্ত করে অভিযুক্তের মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয় বলে আসামী স্বীকার করেছে। প্রথমে শ্বাসরোধ করে পরে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে অংকুর, সে একাই এই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে জানায়। এ ঘটনায় হত্যাকারী অংকুর তার বড় ভাই এবং সৎমাকে আটক করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা ভারতের হাসপাতালের

নাভারণে সহপাঠীর বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে উদ্ধার হলো নিখোঁজ ছাত্রীর লাশ, সহপাঠী সহ আটক ৩

আপডেট সময় ১০:১০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে সহপাঠীর বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে নিখোঁজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে র‍্যাব-৬ যশোর। নিহত শিক্ষার্থী যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ৪র্থ বর্ষের মেধাবি ছাত্রী জেসমিন আক্তার পিংকি। হত্যাকারী তার সহপাঠী।

শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় শার্শা উপজেলার নাভারণ দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের রুমেল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হত্যাকারী আহসান কবির অংকুর বড় ভাই রুমেল ও সৎ মা হোসনেয়ারাকে আটক করেছে  র‍্যাব-৬।

মুল হত্যাকারী আহসান কবির অংকুর দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের আকবার আলীর ছেলে এবং নিহত জেসমিন আক্তার পিংকি কলারোয়া উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আকিকুর রহমান বলেন, আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিংকির মৃত দেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই এক সহপাঠী আহসান কবির অঙ্কুরের বাসাতে আছে। এ সময় চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে আমরা সেফটি ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির মৃত দেহটি খুঁজে পায়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেফটি ট্যাংকের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়।

যশোর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৬) এর কোম্পানী লে: কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবির অঙ্কুর নামে তার এক সহপাঠীকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারী থেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে মেয়েটির পরিবার। যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করলে র‍্যাব ছাঁয়া তদন্ত করে অভিযুক্তের মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয় বলে আসামী স্বীকার করেছে। প্রথমে শ্বাসরোধ করে পরে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে অংকুর, সে একাই এই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে জানায়। এ ঘটনায় হত্যাকারী অংকুর তার বড় ভাই এবং সৎমাকে আটক করা হয়েছে।