ঢাকা ০৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

উত্তরখানে ‘প্রেমিকা’কে হত্যার পর গণপিটুনি থেকে বাঁচতে ৯৯৯ ফোন

রাজধানীর উত্তরখানে চাঁনপাড়া এলাকায় রাশেদা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূকে (প্রেমিকা) হত্যার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি। তার নাম হযরত আলী (৪৮) (প্রমিক)।

ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে উত্তরখান থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে রাশেদা নামের ৪০ বছর বয়সি ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে তার অভিযুক্ত খুনি হযরত আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করে আজ আদালতে পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরখান থানার চাঁনপাড়া এলাকায় প্রেমিকা রাশেদার আক্তারের বাসায় এ খুনের ঘটনাটি ঘটে। আজ বুধবার বিকেলে ডিএমপির উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপির উত্তরখান থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীকে হযরত আলী স্ত্রী বলে দাবি করলেও মূলত ওই নারীর সঙ্গে তার এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নারী নিজের বাসা থেকে হযরতের চাঁনপাড়ার বাসায় যান। হযরত ছাপড়া ঘরের একটি কক্ষে একাই থাকতেন। হযরত ওই নারীকে বিয়ে করার কথা বলে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে হযরত বিয়ে করতে রাজি না হলে দুই জনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি এবং বাকবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে হযরত (প্রেমিক} তাকে পানের ছেঁচুনি দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে ওই নারী চিৎকার দিলে হযরত মসলা বাটার পাটা দিয়ে উপর্যুপরি মাথায় আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে ঘটনাটি ওই বাসার লোকজন এবং প্রতিবেশীরা টের পেয়ে হযরতের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।

এ সময় তিনি স্হানীয় জনতার গণপিটুনি থেকে প্রানে বাঁচতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ওই নারী প্রেমিকাকে হত্যা করার কথা জানান। ঘটনার পর উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হযরতকে গ্রেপ্তার করেন।

পরে তিনি ঘটনাস্থল থেকে রাশেদার মরদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠান।

এদিকে, আজ বুধবার উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, নিহত নারীকে হযরত স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। তবে, ওই নারী প্রেমিকা প্রকৃতপক্ষে আরেক জনের স্ত্রী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হযরত আলী রাশেদাকে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করেছে। ওসি আরও বলেন, হযরত আলী পুলিশের কাছে দাবি করেন, এ পর্যন্ত ওই নারী তার জমানো পৌনে তিন লাখ টাকা নিয়ে গেছেন।

আজ বুধবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় হযরত আলীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ডিএমপির উত্তরখান থানায় মামলা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

উত্তরখানে ‘প্রেমিকা’কে হত্যার পর গণপিটুনি থেকে বাঁচতে ৯৯৯ ফোন

আপডেট সময় ১০:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর উত্তরখানে চাঁনপাড়া এলাকায় রাশেদা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূকে (প্রেমিকা) হত্যার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি। তার নাম হযরত আলী (৪৮) (প্রমিক)।

ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে উত্তরখান থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে রাশেদা নামের ৪০ বছর বয়সি ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে তার অভিযুক্ত খুনি হযরত আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করে আজ আদালতে পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরখান থানার চাঁনপাড়া এলাকায় প্রেমিকা রাশেদার আক্তারের বাসায় এ খুনের ঘটনাটি ঘটে। আজ বুধবার বিকেলে ডিএমপির উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপির উত্তরখান থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীকে হযরত আলী স্ত্রী বলে দাবি করলেও মূলত ওই নারীর সঙ্গে তার এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নারী নিজের বাসা থেকে হযরতের চাঁনপাড়ার বাসায় যান। হযরত ছাপড়া ঘরের একটি কক্ষে একাই থাকতেন। হযরত ওই নারীকে বিয়ে করার কথা বলে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে হযরত বিয়ে করতে রাজি না হলে দুই জনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি এবং বাকবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে হযরত (প্রেমিক} তাকে পানের ছেঁচুনি দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে ওই নারী চিৎকার দিলে হযরত মসলা বাটার পাটা দিয়ে উপর্যুপরি মাথায় আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে ঘটনাটি ওই বাসার লোকজন এবং প্রতিবেশীরা টের পেয়ে হযরতের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।

এ সময় তিনি স্হানীয় জনতার গণপিটুনি থেকে প্রানে বাঁচতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ওই নারী প্রেমিকাকে হত্যা করার কথা জানান। ঘটনার পর উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হযরতকে গ্রেপ্তার করেন।

পরে তিনি ঘটনাস্থল থেকে রাশেদার মরদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠান।

এদিকে, আজ বুধবার উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, নিহত নারীকে হযরত স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। তবে, ওই নারী প্রেমিকা প্রকৃতপক্ষে আরেক জনের স্ত্রী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হযরত আলী রাশেদাকে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করেছে। ওসি আরও বলেন, হযরত আলী পুলিশের কাছে দাবি করেন, এ পর্যন্ত ওই নারী তার জমানো পৌনে তিন লাখ টাকা নিয়ে গেছেন।

আজ বুধবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় হযরত আলীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ডিএমপির উত্তরখান থানায় মামলা হয়েছে।