ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ছাত্র ইউনিয়নের

ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, সিট বাণিজ্য, অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারা দেশের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় ছাত্র ইউনিয়ন।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহ-সভাপতি হাসান ওয়ালী, মানিকগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, গাজীপুর জেলা সংসদের সহ-সভাপতি দেবাশীষ কর্মকার।

ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন সর্বদাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিতে তৎপর থেকেছে। কিন্তু আমরা দেখেছি যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তার ছাত্র সংগঠন তখন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে হামলা করা, আন্দোলন দানা বাঁধতে না দেওয়ায় যেন তাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। অথচ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল, টেন্ডারবাজি, গেস্টরুম নির্যাতনসহ নানা রকম অপকর্মে জড়িত তারা।

সহাবস্থান নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে আমরা ছাত্রদলের সন্ত্রাস দেখেছি, এখন আমরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাস প্রত্যক্ষ করছি। বিগত ১৩ বছরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, মারাও গেছেন কয়েকজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে বরাবরই ব্যর্থ। নামকাওয়াস্তে কয়েকমাসের জন্য বহিষ্কার করেই তারা দায় সারেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত ও গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তব্য। তারা এ কাজে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দেন।

তিনি আরও বলেন, শহীদ মঈন হোসেন রাজুর রক্তের শপথ নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টিকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সুষ্ঠু বিচারের মধ্য দিয়ে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানাই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ছাত্র ইউনিয়নের

আপডেট সময় ১১:৩৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২

ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, সিট বাণিজ্য, অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারা দেশের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় ছাত্র ইউনিয়ন।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহ-সভাপতি হাসান ওয়ালী, মানিকগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, গাজীপুর জেলা সংসদের সহ-সভাপতি দেবাশীষ কর্মকার।

ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন সর্বদাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিতে তৎপর থেকেছে। কিন্তু আমরা দেখেছি যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তার ছাত্র সংগঠন তখন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে হামলা করা, আন্দোলন দানা বাঁধতে না দেওয়ায় যেন তাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। অথচ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল, টেন্ডারবাজি, গেস্টরুম নির্যাতনসহ নানা রকম অপকর্মে জড়িত তারা।

সহাবস্থান নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে আমরা ছাত্রদলের সন্ত্রাস দেখেছি, এখন আমরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাস প্রত্যক্ষ করছি। বিগত ১৩ বছরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, মারাও গেছেন কয়েকজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে বরাবরই ব্যর্থ। নামকাওয়াস্তে কয়েকমাসের জন্য বহিষ্কার করেই তারা দায় সারেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত ও গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তব্য। তারা এ কাজে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দেন।

তিনি আরও বলেন, শহীদ মঈন হোসেন রাজুর রক্তের শপথ নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টিকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সুষ্ঠু বিচারের মধ্য দিয়ে, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও গণতান্ত্রিক সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানাই।