ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলশানে গুলির ঘটনায় মামলা

রাজধানীর গুলশান-১ এলাকার গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে গুলির ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে। গুলির ঘটনায় আহত আমিনুল ইসলাম রোববার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মামলা করেন।

এই মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, মনির আহমেদ ও মো. আরিফ হোসেন। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী জানান, বিকাশ করে টাকা না দেওয়ায় ওমান প্রবাসী আরিফ হোসেনকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশের একটি বিকাশ দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান আলিফ তাকে আটকে রাখে।

ফোন পেয়ে মনির আহমেদ ও মিন্টুসহ ৪-৫ ঘটনাস্থলে এসে আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা। কিন্তু দোকানিরা বাধা দিকে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্র বের করে সাত-আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তার ছোড়া গুলিতে আমিনুল ইসলাম নামে একজন গাড়ি চালক ও রহিম নামে একজন ভ্যান চালক গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় আরিফ হোসেন, তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন ও মিন্টুকে আটক করা হয়। রাতেই ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদনসহ আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গতকাল রাতে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, রোববার বিকেল আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে আলফা স্টোর নামে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আরিফ হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করে। বিকাশ করার সময় সে প্রথমে দোকানদারকে বলে আপনি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন আমি টাকা দিচ্ছি। দোকানদার বিকাশ করার পর সে ৭৫ হাজার টাকা আর সে দিতে পারছে না। যেহেতু সে টাকা দিতে পারছে না, তখন দোকানদার তাকে আটক করে বলে তুমি টাকা না দিয়ে যেতে পারবে না। এক পর্যায়ে আটক অবস্থায় আরিফ তার ভগ্নিপতি মনির আহমেদকে ফোন করে। ফোন পেয়ে মনির হোসেন তার আরও ৪-৫ বন্ধুকে নিয়ে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আসে আরিফকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

তিনি আরও বলেন, সে যখন এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছিল তখন পাশে একজন গাড়ি চালক আমিনুল ইসলাম যার মালিক গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফেতে এসেছিলেন, সেই চালকের পায়ে গুলি লাগে। আমরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠাই। আব্দুর রহিম নামে আরও একজন ভ্যান চালকের পায়ে গুলি লাগে। এ সময় পাশে টহল দিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুকে অস্ত্রসহ আটক করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুলশানে গুলির ঘটনায় মামলা

আপডেট সময় ১২:১৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর গুলশান-১ এলাকার গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে গুলির ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে। গুলির ঘটনায় আহত আমিনুল ইসলাম রোববার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মামলা করেন।

এই মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন, মনির আহমেদ ও মো. আরিফ হোসেন। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী জানান, বিকাশ করে টাকা না দেওয়ায় ওমান প্রবাসী আরিফ হোসেনকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশের একটি বিকাশ দোকানের মালিক হাবিবুর রহমান আলিফ তাকে আটকে রাখে।

ফোন পেয়ে মনির আহমেদ ও মিন্টুসহ ৪-৫ ঘটনাস্থলে এসে আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা। কিন্তু দোকানিরা বাধা দিকে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্র বের করে সাত-আট রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তার ছোড়া গুলিতে আমিনুল ইসলাম নামে একজন গাড়ি চালক ও রহিম নামে একজন ভ্যান চালক গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় আরিফ হোসেন, তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন ও মিন্টুকে আটক করা হয়। রাতেই ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদনসহ আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গতকাল রাতে গুলশান থানায় উপস্থিত হয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ বলেন, রোববার বিকেল আনুমানিক বিকেল ৪টার দিকে গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফের পাশে আলফা স্টোর নামে একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আরিফ হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করে। বিকাশ করার সময় সে প্রথমে দোকানদারকে বলে আপনি ৭৫ হাজার টাকা বিকাশ করেন আমি টাকা দিচ্ছি। দোকানদার বিকাশ করার পর সে ৭৫ হাজার টাকা আর সে দিতে পারছে না। যেহেতু সে টাকা দিতে পারছে না, তখন দোকানদার তাকে আটক করে বলে তুমি টাকা না দিয়ে যেতে পারবে না। এক পর্যায়ে আটক অবস্থায় আরিফ তার ভগ্নিপতি মনির আহমেদকে ফোন করে। ফোন পেয়ে মনির হোসেন তার আরও ৪-৫ বন্ধুকে নিয়ে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আসে আরিফকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

তিনি আরও বলেন, সে যখন এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছিল তখন পাশে একজন গাড়ি চালক আমিনুল ইসলাম যার মালিক গ্লোরিয়া জিন্স ক্যাফেতে এসেছিলেন, সেই চালকের পায়ে গুলি লাগে। আমরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠাই। আব্দুর রহিম নামে আরও একজন ভ্যান চালকের পায়ে গুলি লাগে। এ সময় পাশে টহল দিতে থাকা পুলিশ সদস্যরা আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টুকে অস্ত্রসহ আটক করেন।