পারিবারিক বিরোধের কারণে দপ্তরীর কারসাজিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় জাকারিয়া নামে এক দাখিল পরীক্ষার্থী ৮ বিষয় এ-প্লাস পেয়েও পরীক্ষায় ফেল করার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার টিকিকাটা নূরীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায়।
অভিযুক্ত দপ্তরী মফিজুল হক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। জানাগেছে, মঠবাড়িয়ার টিকিকাটা নূরীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষায় জাকারিয়া নামে এক শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষার ফলাফলে ওই শিক্ষার্থী ৮ বিষয় এ-প্লাস সহ দুই বিষয় এ-মাইনাস পান। কিন্তু ইসলামের ইতিহাস পত্রে ফেল আসে। পরবর্তীতে ওই ছাত্র পরীক্ষার ফলাফল পুনঃযাচাইয়ের জন্য বোর্ডে আবেদন করেন।
এতে দেখা যায় ওই ছাত্রের ইসলামের ইতিহাস পত্রের সাথে এমসিকিউ’র পেপার বোর্ডে জমা হয়নি। পারিবারিক দ্বন্ধের কারণে পরিকল্পিতভাবে ওই মাদ্রাসার দপ্তরী মফিজুল হক শিক্ষার্থী জাকারিয়ার এমসিকিউ’র পেপার গায়েব করে ফেলে। ওই ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষার আগের দিন হল থেকে বের হওয়ার সময় পারিবারিক জেরে দপ্তরী মফিজুল ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থীর সামনে তাকে চড়-থাপ্পসহ ঘাড় ধরে ধাক্কা দেয়।
এসময় কি ভাবে পরীক্ষায় পাশ করি তাও দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জানালে সে কোন গুরুত্ব দেননি। এবিষয় মঠবাড়িয়ার বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ-উল-হক জানান, একজন শিক্ষার্থীর গায়ে কোন দপ্তরী হাত দিতে পারেনা। বিষয়টিতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের গাফেলতি ছিল।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আবু জাফর জানান, পারিবারিক দ্বন্ধের কারণে পরিকল্পিতভাবে ওই ছাত্রের এমসিকউি’র পেপার গায়েব করার কথা স্বাকীর করায় দপ্তরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত দপ্তরী মফিজুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।