ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

তেজগাঁওয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল কুনিপাড়া এলাকায় জুয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের নিরাপত্তাকর্মীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, কে বা কারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়ে এখনও কোন কিছু জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম মো. হাসেম মিয়া (৬১)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের মাথায়, কপালসহ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এদিকে, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার জুয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের ভেতর এ খুনের ঘটনাটি ঘটে। অপরদিকে, আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, নিহতের সহকর্মী মো: ঝন্টু মিয়া জানান, আজ সকাল ৮ টার দিকে আমিসহ আমার সহকর্মীরা হাসেম মিয়ার রুমে গিয়ে দেখি তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, এটি ছোট একটি স্ক্রু কারখানা। তবে, তাকে নিয়ে আসার সময় কারখানার আলমারি খোলা দেখতে পেয়েছি। কে বা কারা তাকে কখন কুপিয়ে হত্যা করেছে সেটি বলতে পারছি না। কারখানার শ্রমিকরা জানান, কুনিপাড়া হ্যাপি হোমস সংলগ্ন জুয়েল ইন্ডাস্ট্রির কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন হাশেম মিয়া। দোতলা কারখানাটির উপরে একটি রুমে একাই থাকতেন তিনি।  এ খুনের ঘটনার পর তার ঘরের আলমারিসহ জিনিসপত্র সব এলোমেলো অবস্হায় পড়ে ছিল। ওসি জানান, নিহত ব্যক্তির মাথাসহ শরীরে জখম রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আবুল কালাম জানান, আমরা ঘটনারটি জানতে পেরেছি। আমাদের টিম বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছি এবং অনেকের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

তেজগাঁওয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল কুনিপাড়া এলাকায় জুয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের নিরাপত্তাকর্মীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, কে বা কারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়ে এখনও কোন কিছু জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম মো. হাসেম মিয়া (৬১)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের মাথায়, কপালসহ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এদিকে, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার জুয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের ভেতর এ খুনের ঘটনাটি ঘটে। অপরদিকে, আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, নিহতের সহকর্মী মো: ঝন্টু মিয়া জানান, আজ সকাল ৮ টার দিকে আমিসহ আমার সহকর্মীরা হাসেম মিয়ার রুমে গিয়ে দেখি তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, এটি ছোট একটি স্ক্রু কারখানা। তবে, তাকে নিয়ে আসার সময় কারখানার আলমারি খোলা দেখতে পেয়েছি। কে বা কারা তাকে কখন কুপিয়ে হত্যা করেছে সেটি বলতে পারছি না। কারখানার শ্রমিকরা জানান, কুনিপাড়া হ্যাপি হোমস সংলগ্ন জুয়েল ইন্ডাস্ট্রির কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন হাশেম মিয়া। দোতলা কারখানাটির উপরে একটি রুমে একাই থাকতেন তিনি।  এ খুনের ঘটনার পর তার ঘরের আলমারিসহ জিনিসপত্র সব এলোমেলো অবস্হায় পড়ে ছিল। ওসি জানান, নিহত ব্যক্তির মাথাসহ শরীরে জখম রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এবিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আবুল কালাম জানান, আমরা ঘটনারটি জানতে পেরেছি। আমাদের টিম বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছি এবং অনেকের সাথে কথা বলেছি। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।