শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায়, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষাক্রম ২০২২, বিস্তরণ বিষয়ে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বাস্তবায়নে ৬ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার। সকাল ১০ টায় কালীগঞ্জ সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুম শিক্ষাক্রম ২০২২, বিস্তরণ বিষয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। সভাপতির বক্তব্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম, তিনি শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদা জানিয়ে বলেন, সমাজের সর্বক্ষেত্রে শিক্ষকদের গুরুত্ব ও সম্মান সবচেয়ে বেশি, আজকে আমরা যারা এই প্রতিষ্ঠানে কিংবা নেতৃত্ব দিচ্ছি, দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছি, সবাইকে কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করে আসতে হয়েছে, সেই শিক্ষকদেরকে বর্তমান সময়ের শিক্ষা কারিকুলাম বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক হিসেবে উপযোগী করে তুলতে সরকার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন করোনা পরিস্থিতির অতিমারির কারণে, শুধু আমাদের নয় গোটা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক পিছিয়ে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী আরো বলেন স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভারমেন্ট এই তিনটি সমন্বয়ে স্মার্ট সোসাইটি এবং এই চারটি সমন্বয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের সরকার বদ্ধপরিকর। প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি কালিগঞ্জ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমার দত্ত, বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালক কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, কোচ সমন্বয়কারী উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার ব্যানবাইজ, নাসিম শাহাদাত, এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বড়সিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমান ,মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাংবাদিক হাফিজুর রহমান ও শেখ আল নূর আহমেদ ইমন প্রমুখ। প্রচলিত শিক্ষাক্রম এর সাথে নতুন শিক্ষাক্রমের মূল পার্থক্য ও পরিবর্তনসমূহ সকলকে ধারণা লাভ করা, শিক্ষাক্রমের রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিক্ষক শেখানো পদ্ধতি জানাও অনুসরণ করা। ৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা প্রতি শুক্রবার শনিবার অনুষ্ঠিত হবে প্রশিক্ষণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬২৫ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালা ৩৩ জন ট্রেনার প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।