তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এবার ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বুদ্ধিদীপ্ত , টেকসই , উদ্ভাবনী, জ্ঞান ও গবেষণার সম্মিলনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ঢাকার লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে” ইনোভেশন টক” সেশনে বক্তৃতা করছিলেন।
বিষয়ভিত্তিক এই সেশনে তরুণ বাংলাদেশী অণুজীব বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি নিজের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন সরকারের ‘অনন্য দুই উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় এই দুইটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে গ্রামের শিক্ষার্থীরাও এখন সহজেই আইসিটি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছে। তরুণরা ‘টেকস্যাভি’ হয়েছে।
এছাড়াও নিজেদের উদ্ভাবিত ‘ই-নথি’র কল্যাণে অতিমারি করোনাতে সবকিছু বন্ধ থাকলেও একমহুর্তের জন্য সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেমে থাকেনি বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগের তরুণ প্রোগ্রামারদের তৈরি ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ করোনার টিকা ব্যবস্থাপনা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও ক্যাশলেস কেনাকাটার ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ এবং ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে গ্রাম-শহর, ধনী-দরিদ্র এবং নারী পুরুষের বৈষম্য ও দূরত্ব কমেছে। সময়, ভোগান্তি ও খরচ কমেছে। এক সময় আইসিটি বলে কিছুই ছিলো না। কিন্তু এখন কম্পিউটার ও আইসিটিতে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। শেরপুরের কাকরকান্দা গ্রাসে বসেই এইচএসসি’র ছাত্রী তৃষ্ণা আইটি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। বর্তমানে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এবং ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত। পরে ঢাকা লিট ফেস্টের দশম এই আসরের আড্ডায় প্রতিমন্ত্রী পলক ও বিজ্ঞানী সেঁজুতি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতাদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।