পোস্টমর্টেম করা লাশ পরিবহনের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হলো যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্তের একান্ত প্রচেষ্টায়। আর এ কাজে সহযোগিতা করেছেন এলাকার ২৬ জন সহৃদয়বান ব্যক্তি। লাশ বহনের ভ্যান গাড়িটা চালানো এবং দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়ছেন অসহায় জবেদ ফকির।
তিনি লাশ বহনের সময় বাদে, এই ভ্যান চালিয়ে উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের ভরণপোষণ করবেন। বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর ১২ টার সময় ঝিকরগাছা থানা প্রাঙ্গণে প্রায় ষাট হাজার টাকা ব্যায়ে জনসাধারণের লাশ পরিবহনের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নত মানের ভ্যা গাড়ি ও ড্রেস তৈরি করে পুরন্দপুর গ্রামের দবির মোড়লের ছেলে জবেদ ফকিরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত বলেন, গ্রাম থেকে কোন মৃত ব্যাক্তিকে থানায় বা পোস্টমর্টেমের জন্য আনতে হলে জরুরি একটা গাড়ির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় দেখা যায় লাশ নিতে অনেকে ভয় পায়। যার জন্য আমার প্রচেষ্টা ও এলাকার কিছু মহৎ মানুষের সহযোগিতায় আজ আমরা সফল হয়েছি। এখন থেকে লাশ পরিবহনের আর কোন সমস্যা হবে না। শুধু মাত্র চালককে সামান্য পরিমাণ পারিশ্রমিক দিলেই হবে।
এমন কাজ করতে পেরে আমার অনেক বেশি ভালো লাগছে এসময় উপস্থিত ছিলেন থানার এসআই (নিঃ) আব্দুর রহমান, সুব্রত কুমার কুন্ডু, এএসআই (নিঃ) মাসুদ রানা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইমরানুর রশিদ, সদস্য এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মাষ্টার আশরাফুজ্জমান বাবু, সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ, পৌর কাউন্সিলর আমিরুল ইসলাম রাজা সহ আরও অনেকে। উল্লেখ্য, ওসি নিজের রেশন ঈদ উপহার হিসেবে দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। করোনা কালীন সময়ে ঝিকরগাছা বাজারে খুঁজে পাওয়া বিশ জন ভিক্ষুকের মাঝে নিজের প্রাপ্য তিন মাসের রেশন বিতরণ করেছিলেন।