ঢাকা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

উত্তরের জনপদ রংপুরে ঘন কুয়াশা, জেঁকে বসছে শীত।

  • গোলাম আজম, রংপুর
  • আপডেট সময় ০৮:৩০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬৮৮ বার পড়া হয়েছে

উত্তরের জেলা রংপুরে প্রতিনিয়ত কমছে তাপমাত্রা বাড়ছে শীত। সেই সঙ্গে প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় আছন্ন হতে শুরু করে জনপদ। কুয়াশার কারনে সকালেও আলো জ্বেলে চলছে যানবাহন। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন,পুরো মাস জুড়েই চলবে শৈত্য প্রবাহ।বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

রংপুরে গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল ৮টা কিংবা ৯ টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে।সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা নেই।এই সময়টাতে লোকজন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডাও জেঁকে বসতে শুরু করেছে। কৃষিজীবি সহ নিম্ন আয়ের মানুষের কাজে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।গতকাল সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি।

ঘন কুয়াশা ঢেকে রেখেছে চারপাশ। যদিও দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে তবে রোদের প্রখরতা নেই বললে চলে।এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। রংপুর শহরের সাতমাথা এলাকার রবিউল এই প্রতিবেদক কে বলেন,প্রতিদিন সকালে ইজিবাইক নিয়ে বের হই। ঠান্ডা ও কুয়াশার কারনে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আমিও যে ইজি বাইক চালাচ্ছি তাতে প্রচন্ড ঠান্ডায় আমারও হাত পা জড়ো হয়ে যাচ্ছে।

একই এলাকার আশিক বলেন,সকালে কিছু শাকসবজি বিক্রি জন্যে বের হয়েছি কিন্তু ঠান্ডায় আর বাইসাইকেল চালাতে পারিনি।মনে হচ্ছে,হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। সদরের দখিগন্জ এলাকার হাবিব নামের এক কৃষক বলেন,এখন ধানের বীজ বপনের সময়।মাঠে আলুর খেতও রয়েছে। যদি এমন কুয়াশা থাকে তাহলে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে।আলুতে বালাইনাশক স্প্রে করেও কাম হচ্ছে না।

পার্কের মোড় এলাকার ওয়াকিল বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে রিক্সায় যাত্রী উঠছে না।কাজ কাম নেই।সকালে বের হওয়া যাচ্ছে না।এই সময়টা আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমস্যাও বটে।ট্রাক ড্রাইভার কালু মিয়া বলেন,এই ঘন কুয়াশায় ঠিকমত গাড়ি চালাতে পারছিনা।

রংপুর আন্ঙলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের তথ্যমতে,গতকাল শনিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জনাব,মোস্তাফিজার রহমান বলেন,পুরো জানুয়ারী মাসজুড়ে এরকম তাপমাত্রা থাকতে পারে ও শৈত্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

উত্তরের জনপদ রংপুরে ঘন কুয়াশা, জেঁকে বসছে শীত।

আপডেট সময় ০৮:৩০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

উত্তরের জেলা রংপুরে প্রতিনিয়ত কমছে তাপমাত্রা বাড়ছে শীত। সেই সঙ্গে প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় আছন্ন হতে শুরু করে জনপদ। কুয়াশার কারনে সকালেও আলো জ্বেলে চলছে যানবাহন। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন,পুরো মাস জুড়েই চলবে শৈত্য প্রবাহ।বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

রংপুরে গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল ৮টা কিংবা ৯ টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে।সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা নেই।এই সময়টাতে লোকজন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডাও জেঁকে বসতে শুরু করেছে। কৃষিজীবি সহ নিম্ন আয়ের মানুষের কাজে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।গতকাল সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি।

ঘন কুয়াশা ঢেকে রেখেছে চারপাশ। যদিও দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে তবে রোদের প্রখরতা নেই বললে চলে।এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। রংপুর শহরের সাতমাথা এলাকার রবিউল এই প্রতিবেদক কে বলেন,প্রতিদিন সকালে ইজিবাইক নিয়ে বের হই। ঠান্ডা ও কুয়াশার কারনে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আমিও যে ইজি বাইক চালাচ্ছি তাতে প্রচন্ড ঠান্ডায় আমারও হাত পা জড়ো হয়ে যাচ্ছে।

একই এলাকার আশিক বলেন,সকালে কিছু শাকসবজি বিক্রি জন্যে বের হয়েছি কিন্তু ঠান্ডায় আর বাইসাইকেল চালাতে পারিনি।মনে হচ্ছে,হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। সদরের দখিগন্জ এলাকার হাবিব নামের এক কৃষক বলেন,এখন ধানের বীজ বপনের সময়।মাঠে আলুর খেতও রয়েছে। যদি এমন কুয়াশা থাকে তাহলে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে।আলুতে বালাইনাশক স্প্রে করেও কাম হচ্ছে না।

পার্কের মোড় এলাকার ওয়াকিল বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে রিক্সায় যাত্রী উঠছে না।কাজ কাম নেই।সকালে বের হওয়া যাচ্ছে না।এই সময়টা আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমস্যাও বটে।ট্রাক ড্রাইভার কালু মিয়া বলেন,এই ঘন কুয়াশায় ঠিকমত গাড়ি চালাতে পারছিনা।

রংপুর আন্ঙলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের তথ্যমতে,গতকাল শনিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জনাব,মোস্তাফিজার রহমান বলেন,পুরো জানুয়ারী মাসজুড়ে এরকম তাপমাত্রা থাকতে পারে ও শৈত্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।