ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

উত্তরের জনপদ রংপুরে ঘন কুয়াশা, জেঁকে বসছে শীত।

  • গোলাম আজম, রংপুর
  • আপডেট সময় ০৮:৩০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬৯৮ বার পড়া হয়েছে

উত্তরের জেলা রংপুরে প্রতিনিয়ত কমছে তাপমাত্রা বাড়ছে শীত। সেই সঙ্গে প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় আছন্ন হতে শুরু করে জনপদ। কুয়াশার কারনে সকালেও আলো জ্বেলে চলছে যানবাহন। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন,পুরো মাস জুড়েই চলবে শৈত্য প্রবাহ।বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

রংপুরে গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল ৮টা কিংবা ৯ টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে।সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা নেই।এই সময়টাতে লোকজন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডাও জেঁকে বসতে শুরু করেছে। কৃষিজীবি সহ নিম্ন আয়ের মানুষের কাজে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।গতকাল সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি।

ঘন কুয়াশা ঢেকে রেখেছে চারপাশ। যদিও দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে তবে রোদের প্রখরতা নেই বললে চলে।এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। রংপুর শহরের সাতমাথা এলাকার রবিউল এই প্রতিবেদক কে বলেন,প্রতিদিন সকালে ইজিবাইক নিয়ে বের হই। ঠান্ডা ও কুয়াশার কারনে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আমিও যে ইজি বাইক চালাচ্ছি তাতে প্রচন্ড ঠান্ডায় আমারও হাত পা জড়ো হয়ে যাচ্ছে।

একই এলাকার আশিক বলেন,সকালে কিছু শাকসবজি বিক্রি জন্যে বের হয়েছি কিন্তু ঠান্ডায় আর বাইসাইকেল চালাতে পারিনি।মনে হচ্ছে,হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। সদরের দখিগন্জ এলাকার হাবিব নামের এক কৃষক বলেন,এখন ধানের বীজ বপনের সময়।মাঠে আলুর খেতও রয়েছে। যদি এমন কুয়াশা থাকে তাহলে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে।আলুতে বালাইনাশক স্প্রে করেও কাম হচ্ছে না।

পার্কের মোড় এলাকার ওয়াকিল বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে রিক্সায় যাত্রী উঠছে না।কাজ কাম নেই।সকালে বের হওয়া যাচ্ছে না।এই সময়টা আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমস্যাও বটে।ট্রাক ড্রাইভার কালু মিয়া বলেন,এই ঘন কুয়াশায় ঠিকমত গাড়ি চালাতে পারছিনা।

রংপুর আন্ঙলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের তথ্যমতে,গতকাল শনিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জনাব,মোস্তাফিজার রহমান বলেন,পুরো জানুয়ারী মাসজুড়ে এরকম তাপমাত্রা থাকতে পারে ও শৈত্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

উত্তরের জনপদ রংপুরে ঘন কুয়াশা, জেঁকে বসছে শীত।

আপডেট সময় ০৮:৩০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

উত্তরের জেলা রংপুরে প্রতিনিয়ত কমছে তাপমাত্রা বাড়ছে শীত। সেই সঙ্গে প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় আছন্ন হতে শুরু করে জনপদ। কুয়াশার কারনে সকালেও আলো জ্বেলে চলছে যানবাহন। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন,পুরো মাস জুড়েই চলবে শৈত্য প্রবাহ।বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

রংপুরে গত কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আগের দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরের দিন সকাল ৮টা কিংবা ৯ টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে।সূর্য উঠলেও রোদের প্রখরতা নেই।এই সময়টাতে লোকজন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডাও জেঁকে বসতে শুরু করেছে। কৃষিজীবি সহ নিম্ন আয়ের মানুষের কাজে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে।গতকাল সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি।

ঘন কুয়াশা ঢেকে রেখেছে চারপাশ। যদিও দুপুরে সূর্যের দেখা মিলেছে তবে রোদের প্রখরতা নেই বললে চলে।এই সময়ে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন গুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। রংপুর শহরের সাতমাথা এলাকার রবিউল এই প্রতিবেদক কে বলেন,প্রতিদিন সকালে ইজিবাইক নিয়ে বের হই। ঠান্ডা ও কুয়াশার কারনে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। আমিও যে ইজি বাইক চালাচ্ছি তাতে প্রচন্ড ঠান্ডায় আমারও হাত পা জড়ো হয়ে যাচ্ছে।

একই এলাকার আশিক বলেন,সকালে কিছু শাকসবজি বিক্রি জন্যে বের হয়েছি কিন্তু ঠান্ডায় আর বাইসাইকেল চালাতে পারিনি।মনে হচ্ছে,হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। সদরের দখিগন্জ এলাকার হাবিব নামের এক কৃষক বলেন,এখন ধানের বীজ বপনের সময়।মাঠে আলুর খেতও রয়েছে। যদি এমন কুয়াশা থাকে তাহলে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে।আলুতে বালাইনাশক স্প্রে করেও কাম হচ্ছে না।

পার্কের মোড় এলাকার ওয়াকিল বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে রিক্সায় যাত্রী উঠছে না।কাজ কাম নেই।সকালে বের হওয়া যাচ্ছে না।এই সময়টা আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সমস্যাও বটে।ট্রাক ড্রাইভার কালু মিয়া বলেন,এই ঘন কুয়াশায় ঠিকমত গাড়ি চালাতে পারছিনা।

রংপুর আন্ঙলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের তথ্যমতে,গতকাল শনিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জনাব,মোস্তাফিজার রহমান বলেন,পুরো জানুয়ারী মাসজুড়ে এরকম তাপমাত্রা থাকতে পারে ও শৈত্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে তবে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।