ঢাকা ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন রমিজ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় রমিজ রাজার বিদায় আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল অনেকটা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে লজ্জাজনক টেস্ট সিরিজ হারের পর চূড়ান্ত হয় সেটি। নতুন করে বোর্ড পরিচালনার দায়িত্ব যায় নাজাম শেঠির কাঁধে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগের নির্বাচক প্যানেলও। অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি, আবদুল রাজ্জাক ও রাও ইফতিখার আনজুম।

দায়িত্বে রদবদল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে দুটি পক্ষ সৃষ্টি করেছে। দুই গ্রুপের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই। বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই রমিজ নতুন প্রধান নাজাম শেঠি ও তার সঙ্গীদের নিয়ে নানা রকমের কথা বলে যাচ্ছেন। পাল্টা দিচ্ছেন নাজাম শেঠির দলের লোকেরাও।

এ প্রসঙ্গে রমিজ বলেন, ‘গাড়িটা পিসিবির, আমার কেনা নয়। আমার পরে যারা দায়িত্বে এসেছে, তারাও ব্যবহার করতে পারে। আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হত্যার হুমকি ছাড়া আপনি বুলেটপ্রুফ গাড়ি পাবেন না।’

নিরাপত্তার স্বার্থে সেই হুমকির বিষয়টি খোলাসা করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন রমিজ, ‘সেই হুমকির তথ্য আমি প্রকাশ করতে পারব না। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়া যখন পাকিস্তানে এসেছিল, তখন আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। ডিআইজি সাহেব তখন আমার বাড়িতে আসে। পুরো বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে।’

এর আগে দায়িতে থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তান সরকার ও পিসিবি প্রধানের সমালোচনা করেছিলেন রমিজ। তিনি বলেছিলেন ‘পাকিস্তান সরকার নাজাম শেঠিকে দায়িত্ব দিতে একজন টেস্ট ক্রিকেটারকে সরিয়ে দিয়েছে, যা খুবই অসম্মানজনক। আমার জীবনে এমন কিছু দেখিনি। তারা ক্রিকেট বোর্ডে একপ্রকার আক্রমণই করেছে। এমনকি আমার জিনিসপত্রগুলো নেওয়ারও সুযোগ দেয়নি। ১৭ জনের একটি দল অফিসে আসে। তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছিল, অফিস তল্লাশি করতে যেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির লোকেরা এসেছে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন রমিজ

আপডেট সময় ০৬:৪৬:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় রমিজ রাজার বিদায় আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল অনেকটা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে লজ্জাজনক টেস্ট সিরিজ হারের পর চূড়ান্ত হয় সেটি। নতুন করে বোর্ড পরিচালনার দায়িত্ব যায় নাজাম শেঠির কাঁধে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগের নির্বাচক প্যানেলও। অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শহীদ আফ্রিদি, আবদুল রাজ্জাক ও রাও ইফতিখার আনজুম।

দায়িত্বে রদবদল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে দুটি পক্ষ সৃষ্টি করেছে। দুই গ্রুপের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই। বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই রমিজ নতুন প্রধান নাজাম শেঠি ও তার সঙ্গীদের নিয়ে নানা রকমের কথা বলে যাচ্ছেন। পাল্টা দিচ্ছেন নাজাম শেঠির দলের লোকেরাও।

এ প্রসঙ্গে রমিজ বলেন, ‘গাড়িটা পিসিবির, আমার কেনা নয়। আমার পরে যারা দায়িত্বে এসেছে, তারাও ব্যবহার করতে পারে। আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হত্যার হুমকি ছাড়া আপনি বুলেটপ্রুফ গাড়ি পাবেন না।’

নিরাপত্তার স্বার্থে সেই হুমকির বিষয়টি খোলাসা করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন রমিজ, ‘সেই হুমকির তথ্য আমি প্রকাশ করতে পারব না। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়া যখন পাকিস্তানে এসেছিল, তখন আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। ডিআইজি সাহেব তখন আমার বাড়িতে আসে। পুরো বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে।’

এর আগে দায়িতে থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তান সরকার ও পিসিবি প্রধানের সমালোচনা করেছিলেন রমিজ। তিনি বলেছিলেন ‘পাকিস্তান সরকার নাজাম শেঠিকে দায়িত্ব দিতে একজন টেস্ট ক্রিকেটারকে সরিয়ে দিয়েছে, যা খুবই অসম্মানজনক। আমার জীবনে এমন কিছু দেখিনি। তারা ক্রিকেট বোর্ডে একপ্রকার আক্রমণই করেছে। এমনকি আমার জিনিসপত্রগুলো নেওয়ারও সুযোগ দেয়নি। ১৭ জনের একটি দল অফিসে আসে। তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছিল, অফিস তল্লাশি করতে যেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির লোকেরা এসেছে।’