ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্ব রত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পার্শ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাপশীল ও প্রিজাইডিং অফিসার গৌরীপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক রমজান আলীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান বিএনপির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন চশমা -এর পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার কারণে পূর্ণ নির্বাচন দাবি করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ।
শনিবার দুপুর ১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এই দাবির কথা জানান নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ লিখিত বক্তব্যে জানান গত ২৯শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত স্বতন্ত্র চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে দায়িত্বগত নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোটা অংকের টাকা নিয়ে জামাত বিএনপির সঙ্গে আপাতত করে নৌকার সুনিশ্চিত বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করে চশমার প্রার্থীকে বিজয় করেন।
মামুনুর রশিদ বলেন ইলিয়টগঞ্জ রাবি উচ্চ বিদ্যালয় ছিল নৌকার ভোটব্যাংক। এখানেই প্রিজাইডিং অফিসার রমজান ও দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীলের জোক সাজেসে ইবিএম মেশিন এর ত্রুটি দেখিয়ে অপেক্ষাকৃত কেন্দ্রের তুলনায় ভোট কাস্টিং কম করান। ইলিয়টগঞ্জ রাবি উচ্চ বিদ্যালয় এর মোট ভোটার সংখ্যা ছিল 2827 জন। ভোট নেওয়া হয়েছে ১৬৭৪ জন প্রায় 5 শতাধিক ভোটার অপেক্ষামান ছিল ভোট দেওয়ার জন্য। আমার বিজয় সুনিশ্চিত দেখে জামাত বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে আমার ভোটারদের দায়িত্ব রত ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীল বিজিবি ও পুলিশকে লাঠিচার্জের নির্দেশ করে।
পরে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ শুরু করলে ভোটাররা ভয়ে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যায়। এবং কি আমি এর প্রতিবাদ করলে ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীল আমাকে অপমান অপদস্ত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। প্রকৃতপক্ষে এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ নিরপেক্ষ হলে আমার নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত হতো। তাই আমি ইলিয়ট গঞ্জ রাবি উচ্চ বিদ্যালয় ৫ নং ওয়ার্ড এর পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা পেয়েছে ৪১৮৭ ভোট নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছে ৪০০৪ ভোট