সারা বিশ্বে পেলে নামে বিখ্যাত ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তোর মৃত্যর খবর এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না দেশটির মানুষের। সবার আশা ছিল লড়াই করে ফিরবেন তিনি।
ফুটবল সম্রাটের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। পরে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। বছরের এই সময়টায় সাও পাওলোর বেশিরভাগ মানুষই ছুটি কাটাতে বেড়াতে চলে যান। নববর্ষ পালন করে তারা ফেরেন। কিন্তু পেলের মৃত্যু সেই ছবিটা বদলে দিয়েছে। ছুটি বাতিল করে অনেকে ফিরে এসেছেন শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে।
প্যারিস থেকে আসতে পারেন নেইমারও। ফুটবল সম্রাটের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই শোকে কাতর হয়ে রয়েছেন তিনি। নেইমারের জন্মও যে এই সাও পাওলোতে। পেলের মতো তারও উত্থান স্যান্টোস থেকেই। আসার কথা ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোসহ সারা বিশ্বের অসংখ্য গণ্যমান্য অতিথিদের।
আগামী মঙ্গলবার পেলেকে সমাধিস্থ করা হবে সান্তোসের মেমোরিয়াল নেক্রোপোল একুমেনিকাতে। সেখানে অবশ্য শুধু তার পরিবারের সদস্যরাই থাকতে পারবেন। সোমবার ভোরে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সান্তোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। এই মাঠেই বহু স্মরণীয় গোল করেছিলেন পেলে। সাও পাওলোর বাসিন্দাদের কাছে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়াম তীর্থস্থান। সেখানেই ব্রাজিলের সাধারণ মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
২১ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে ১৩৬৩ ম্যাচ খেলে রেকর্ড ১২৮১ গোল করেছেন পেলে। এর মধ্যে ব্রাজিলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭টি আন্তর্জাতিক গোলও রয়েছে তার। মূলত তিন তিনবার বিশ্বকাপ জয় করার জন্য পেলে বিখ্যাত হয়েছেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি এতবার বিশ্বকাপ জয় করেছেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে অপারেশন করে পেলের কোলন থেকে টিউমার অপসারণ করা হয় সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হসপিটালে। পরে গত মাসে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো হাসপাতাল থেকে তার বাবার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ খবর ভক্তদের জানাচ্ছিলেন প্রতিনিয়ত সামাজিক মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকেই তিনি লেখেন- আমাদের সব কিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমরা তোমাকে সীমাহীন ভালোবাসি। শান্তিতে ঘুমাও।