প্রেমের টানে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছুটে এসেছেন জ্যোতি (২১) নামের নেপালের এক তরুণী। সম্প্রতি সাইপ্রাস প্রবাসী রায়পুরের যুবক রাসেল হোসেনের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সাইপ্রাসে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে বাংলাদেশি যুবক মো. রাসেলের (৩৩) সঙ্গে নেপালি তরুণী জ্যোতির (২৭) পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব। পরে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। চার বছরের প্রেম অবশেষে পূর্ণতা পেয়েছে।
২৩ নভেম্বর পরিবার ছেড়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসেন জ্যোতি। গতকাল বুধবার আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁরা বিয়ে করেছেন। রাসেল লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চনপুর গ্রামের মনতাজুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে। বিদেশি তরুণীর সঙ্গে বিয়ের খবরে গ্রামের অনেকেই রাসেলের বাড়িতে বেড়াতে আসছেন। জ্যোতির বাড়ি নেপালের সোনাচুড়ি জেলার হেটড়া শহরে। ধর্ম পরিবর্তনের কারণে জ্যোতির নাম এখন বদলে গেছে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর এখন তাঁর নাম খাদিজা বেগম। ঢাকাতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নেপালি তরুণী জ্যাতি। পরে নাম পরিবর্তন করে আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিজের নাম রাখেন ‘খাদিজা বেগম’। এরপর তারা শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেন।
কিছুদিন তারা ঢাকায় ছিলেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি শেষে ২০ ডিসেম্বর নববধূকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি রায়পুরে আসেন রাসেল। তবে ঢাকায় বিয়ে জাকজমক না হওয়ায় স্বজনরা নতুন করে আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করেন। ২৬ ডিসেম্বর গায়েহলুদের অনুষ্ঠান করা হয়। ২৭ ডিসেম্বর পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা করে রাসেল-খাদিজার বিয়েকে স্মরণীয় করেছেন স্বজনরা। বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে জানিয়ে জ্যোতি বলেন, রাসেলকে বিয়ে করতে পেরে তিনি অনেক খুশি। তাঁকে নিয়ে সব সময় বাংলাদেশেই থাকতে চান। রাসেল বলেন, ২৩ নভেম্বর পরিবার ছেড়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসেন জ্যোতি। ঢাকায় পা রেখেই ধর্ম পরিবর্তন করেন তিনি। তারপর আদালতের মাধ্যমে যাবতীয় কার্যক্রম শেষে তাঁরা বিয়ে করেন। প্রায় চার বছর তাঁরা সাইপ্রাসের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। চাকরির সুবাদেই দুজনের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে খাদিজা ওরফে জ্যোতির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর আগে গত মার্চে প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে লক্ষ্মীপুরে এসেছিলেন ফানিয়া আইয়প্রেনিয়া নামের এক তরুণী। গত অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী সিতি রাহাইউ লক্ষ্মীপুরে এসে বিয়ে করেন তাঁর প্রেমিকাকে।