১০ দিন আগেই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন। ৮ গোল করে হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও। তবুও দলকে জেতাতে পারলেন না শিরোপার মুকুট। সব ক্লান্তি আর হতাশাকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপ মিশন শেষের তিন দিনের মাথায় এলেন ক্লাবের ক্যাম্পে। প্রথম ম্যাচেই রুদ্ধশ্বাস গোলে দলকে জেতালেন শেষ মুহূর্তে। কিলিয়ান এমবাপে মানেই যেন লড়াকু এক যোদ্ধা।
এমবাপের সঙ্গে একই দিনে ফাইনাল খেলেছেন লিওনেল মেসি। ক্লাব পর্যায়ে একই দলে খেলা এই দুই তারকার লড়াইটা বেশ জমেছিল ফাইনালে। তবে শেষ হাসি হেসেছেন মেসি। ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে দলকে জেতালেন বিশ্বসেরার শিরোপা। এমন অর্জনের পর উদযাপন তো আবশ্যকই। তাই আনন্দ উদযাপনে লম্বা ছুটি নিয়েছেন মেসি।
এদিকে স্ট্রাসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পিএসজির মাঠের লড়াই আবারও শুরু হয়ে গেল গতকাল। দলের সেরা তারকা রোসারিওতে ছুটি কাটাচ্ছেন। দায়িত্বটা এমবাপে নিজের কাঁধে তুলে নিলেও মেসির জন্য অধীর অপেক্ষা করছেন তিনি। মাত্র ১০ দিন আগে আর্জেন্টাইন তারকার কাছে হেরে শিরোপা হারালেও তাকেই দলে পেতে মরিয়া এমবাপে। বুধবার ম্যাচ শেষে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
ফাইনাল ম্যাচের পরও মেসির সঙ্গে কথা বলেছিলেন এমবাপে। একই ক্লাবের তারকাকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছাও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মেসিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। সারা জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার পেল। আমার কাছেও সুযোগ ছিল। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি। লিওর ফেরার জন্য অপেক্ষা করব। ওর সঙ্গে নতুন জয় এবং নতুন লক্ষ্য স্থির করব।’
তবে ফাইনালে সেই হার যে মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন এমবাপে। বলেছেন, ‘মনে হয় না এত সহজে ওই স্মৃতির থেকে মুক্তি পাব। কখনওই হয়তো সেটা সম্ভব হবে না। তবু ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য ফিরে এসেছি। সতীর্থদের বলেছি, জাতীয় দলের হয়ে আমার যে ব্যর্থতা, তার ফল যাতে ক্লাবকে ভুগতে না হয় সেই চেষ্টাই করব। দুটো আলাদা জায়গা। মিলিয়ে ফেললে চলবে না। বিশ্বকাপে আমার ব্যর্থতার জন্য পিএসজি দায়ী ছিল না। নিজের সর্বশক্তি নিয়ে, ইতিবাচক মনোভাবের সঙ্গে ফিরতে চেয়েছিলাম। ফাইনালে যা হয়েছে সেটা কোনও ভাবেই বদলানো যাবে না। তাই প্রতি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দিতে চাই।’