বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর শেষ হয়েছে আরও ১০ দিন আগে। ইতোমধ্যে ক্লাবের ফুটবলে মন দিতে শুরু করেছেন ফুটবলাররা। কিন্তু ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক লিওনেল মেসি এখনও ব্যস্ত বিশ্বজয় উদযাপনে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে করেছেন অতিরিক্ত ছুটির আবেদন।
বিশ্বকাপ শেষের তিন দিনের মাথায় পিএসজির অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপে। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারও এসেছেন তার একদিন পর। যোগ দেননি মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা ছুটি কাটিয়ে যোগ দেবেন জানুয়ারির দুই কিংবা তিন তারিখে। আর বুধবার রাতে পিএসজির ম্যাচ থাকলেও মেসির ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেছে ক্লাব।
বুধবার রাতে পিএসজি খেলবে স্ট্রাসবার্গের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে মেসিকে পাওয়া যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ের। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আনন্দ উদযাপনে মেসিকে আর্জেন্টিনা যেতেই হত। সেই কারণে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মেসিকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। মেসি দলে যোগ দেবে ২ বা ৩ জানুয়ারি। তার পর ১৩-১৪ দিন সময় লাগবে মেসির আবার ম্যাচের জন্য ফিট হতে।’
বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন মেসি এবং এমবাপে। আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের ফাইনালে শেষ পর্যন্ত জেতে লিওনেল মেসির দল। ফাইনালে মেসি দু’টি গোল করেন। এমবাপে হ্যাটট্রিক করেন। তাদের সেই লড়াই ওখানেই শেষ বলে মনে করেন গালতিয়ের। তিনি বলেন, ‘সব কিছুর মধ্যে মেসি এবং এমবাপের সম্পর্ককে টেনে আনার প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপ হারার পরেও এমবাপে যথেষ্ট স্বাভাবিক আছে। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। এমবাপেও হতাশ ছিল। সেটা কী ভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে, তা এমবাপে জানে। মেসিকে শুভেচ্ছা জানাতেও এমবাপের কোনও বাধা নেই। ক্লাবের জন্য এটা খুব ভাল দিক।’
লিগ ওয়ানে এখন শীর্ষ স্থানে আছে পিএসজি। ১৫ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪১ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের থেকে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছে মেসিরা।