হেক্সা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে সফলতার মুখ দেখেনি দলটি, টানা দ্বিতীয় বারের মতো দলটির বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে শেষ আট থেকে। দলের এই ব্যর্থতার পর কোচ তিতে দায়িত্ব ছেড়েছেন। এরপর থেকেই গুঞ্জন চলছে, রেকর্ড ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নতুন কোচ কে হবেন, এই নিয়ে।
লাতিন দলটির কোচ হিসেবে বিদেশিদের খুব একটা দেখা যায়নি। অন্তত শেষ ৫০ বছরে তো নয়ই! ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের ইতিহাসে বিদেশি কোচের অধীনে খেলেছে তিন বার। ১৯২৫ সালে চার ম্যাচে দলটির কোচ ছিলেন উরুগুইয়ান র্যামন প্লাতেরো, ১৯৪০ এর দিকে দুটো প্রীতি ম্যাচে দলটির কোচ ছিলেন পর্তুগালের জোরেকা। আর সবশেষ ১৯৬৫ সালে আর্জেন্টাইন কোচ ফিলপো নুনিয়েজের অধীনে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে খেলেছিল দলটি।
এরপর থেকে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে দেখা গেছে কোনো এক ব্রাজিলিয়ানকেই। দীর্ঘ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এবার সেই প্রথাটাই ভাঙতে চলেছে সেলেসাওরা, জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। জোসে মরিনিও থেকে শুরু করে পেপ গার্দিওলা, কার নাম বাদ যায়নি এখানে!
এবার ফরাসি সংবাদ মাধ্যম লেকিপে জানাচ্ছে জিনেদিন জিদানের নাম। ব্রাজিল যেমন চাইছে, জিদান ঠিক তেমনই এক কোচ। ব্রাজিল তাদের পরবর্তী কোচ হিসেবে বিদেশি কাউকে চাইছে, ফরাসি কোচ জিদান এখানে উতরে গেছেন। বর্তমানে কাজে নেই, এমন কাউকে চাইছে সেলেসাওরা, এখানেও জিদান যুতসই, রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে তিনি নতুন কোনো কাজে জড়াননি। এরপর আসে তার অভিজ্ঞতার কথা, যে কোচ টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদকে, তার অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্রাজিলের অভিযোগের কোনো সুযোগই নেই।
জিদানের সম্ভাবনা ছিল ফ্রান্সের কোচ হওয়ার। তবে ফরাসি ফুটবলের আভাস, বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও কোচ দিদিয়ের দেশমকেই রেখে দেবে দুই বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সে কারণে জিদানকে অন্য কোনো জাতীয় দলের কোচিংয়ে দেখা যেতে পারে বলে ধারণা ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমের। লেকিপে এবার জানিয়ে দিল, ব্রাজিলই হতে পারে তার পরবর্তী গন্তব্য।
জিদান ছাড়াও ব্রাজিলের সম্ভাব্য কোচের তালিকায় আছে আর্জেন্টাইন মার্সেলো গ্যালার্দো, মরিসিও পচেত্তিনো, জার্মান থমাস টুখেল, স্প্যানিশ রবার্তো মার্টিনেজ ও রাফায়েল বেনিতেজের নামও। শেষমেশ ব্রাজিল তাদের নতুন কোচ হিসেবে কাকে নিয়োগ দেয়, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে কিছু দিন।