ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবিতে ছবিতে মেসিদের আর্জেন্টিনায় বরণ

ইতিহাস গড়া বিশ্বকাপ জয় শেষে মঙ্গলবার ভোরে আর্জেন্টিনায় ফিরেছেন লিওনেল মেসি-এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা। বুয়েনস আইরেসে পা দিতেই তাদের অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় ঢল নামে হাজারো মানুষের।

মেসিদের আগমণ উপলক্ষে অনেকেই খাওয়া-ঘুম ছেড়ে দিয়েছিলেন। স্থানীয় গনমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ২ লক্ষ মানুষ অ্যাপের মাধ্যমে বিমান অবতরণের দিকে নজর রেখেছিলেন।

বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে মেসিদের জন্য অপেক্ষা করছিল সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত ছাদখোলা বাস। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লেখা এই বাসে চড়ার কতোই না স্বপ্ন ছিল মেসির। এই বাসে চড়েই বিমানবন্দরের বাইরে আসে আর্জেন্টিনা দল।

৩৬ বছরের আক্ষেপের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরেছেন ফুটবলাররা। এমন বীরদেরই তো মানায় এই অভ্যর্থনা।

মেসিরা ছাদখোলা বাসে ওঠার পর পরই বাঁশি-ভেঁপু বাজিয়ে শুরু হয় আনন্দ উদযাপন। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে বেজে ওঠে মিশ্র সুর।

ছাদখোলা বাস এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বুয়েন্স আইরেসের রাস্তাঘাট। নীল-সাদা পতাকায় ঢেকে যায় শহরের আকাশ।

গায়ে-মুখে আর্জেন্টিনার পতাকা আঁকা মানুষের স্রোত হাঁটতে থাকে মেসিদের বাসের পাশে পাশে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাদের লক্ক্য করে ছোঁড়া হয় ফুল-মালা। জায়গায় জায়গায় মাইকে চালানো হয় সে দেশের জাতীয় সঙ্গীত।

শহরের মাঝামাঝি থাকা বিখ্যাত ওবেলিস্ক মিনারে আরও একটি চমক অপেক্ষা করছিল মেসিদের জন্য। সারা মিনারের গায়ে লেজার রশ্মি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় বিশ্বকাপজয়ীদের ছবি।

ধীরে ধীরে ওবেলিস্ক মিনারের কাছে মানুষের ভিড় আরও বাড়ে। উৎফুল্ল মানুষের ভিড়ে বেশ কিছুক্ষণ বাস থেমেছিল এই জায়গায়। বাস এবং ওবেলিস্ককে ঘিরে এসময় গোল হয়ে নাচতে শুরু করেন ভক্তরা।  কয়েক জন সমর্থক তো এগিয়ে এসে মেসিদের বাসেই উঠে গিয়েছিলেন। তবে আনন্দের এই মুহূর্তে তাদেরকে হতাশ করে নামিয়ে দেওয়া হয়নি বাস থকে।

লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার বিশ্ব অঙ্গনে অন্যতম পরিচয় ফুটবল। সেই ফুটবলে তারা শেষ বিশ্বকাপ যেতে ৩৬ বছর আগে। এরপর কয়েকবার কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। এবার সেসব গেরো কাটিয়ে বিশ্বকাপটা নিজেদের করেই নিল মেসিরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

ছবিতে ছবিতে মেসিদের আর্জেন্টিনায় বরণ

আপডেট সময় ১১:০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

ইতিহাস গড়া বিশ্বকাপ জয় শেষে মঙ্গলবার ভোরে আর্জেন্টিনায় ফিরেছেন লিওনেল মেসি-এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা। বুয়েনস আইরেসে পা দিতেই তাদের অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় ঢল নামে হাজারো মানুষের।

মেসিদের আগমণ উপলক্ষে অনেকেই খাওয়া-ঘুম ছেড়ে দিয়েছিলেন। স্থানীয় গনমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ২ লক্ষ মানুষ অ্যাপের মাধ্যমে বিমান অবতরণের দিকে নজর রেখেছিলেন।

বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে মেসিদের জন্য অপেক্ষা করছিল সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত ছাদখোলা বাস। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লেখা এই বাসে চড়ার কতোই না স্বপ্ন ছিল মেসির। এই বাসে চড়েই বিমানবন্দরের বাইরে আসে আর্জেন্টিনা দল।

৩৬ বছরের আক্ষেপের অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরেছেন ফুটবলাররা। এমন বীরদেরই তো মানায় এই অভ্যর্থনা।

মেসিরা ছাদখোলা বাসে ওঠার পর পরই বাঁশি-ভেঁপু বাজিয়ে শুরু হয় আনন্দ উদযাপন। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে বেজে ওঠে মিশ্র সুর।

ছাদখোলা বাস এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে বুয়েন্স আইরেসের রাস্তাঘাট। নীল-সাদা পতাকায় ঢেকে যায় শহরের আকাশ।

গায়ে-মুখে আর্জেন্টিনার পতাকা আঁকা মানুষের স্রোত হাঁটতে থাকে মেসিদের বাসের পাশে পাশে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাদের লক্ক্য করে ছোঁড়া হয় ফুল-মালা। জায়গায় জায়গায় মাইকে চালানো হয় সে দেশের জাতীয় সঙ্গীত।

শহরের মাঝামাঝি থাকা বিখ্যাত ওবেলিস্ক মিনারে আরও একটি চমক অপেক্ষা করছিল মেসিদের জন্য। সারা মিনারের গায়ে লেজার রশ্মি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় বিশ্বকাপজয়ীদের ছবি।

ধীরে ধীরে ওবেলিস্ক মিনারের কাছে মানুষের ভিড় আরও বাড়ে। উৎফুল্ল মানুষের ভিড়ে বেশ কিছুক্ষণ বাস থেমেছিল এই জায়গায়। বাস এবং ওবেলিস্ককে ঘিরে এসময় গোল হয়ে নাচতে শুরু করেন ভক্তরা।  কয়েক জন সমর্থক তো এগিয়ে এসে মেসিদের বাসেই উঠে গিয়েছিলেন। তবে আনন্দের এই মুহূর্তে তাদেরকে হতাশ করে নামিয়ে দেওয়া হয়নি বাস থকে।

লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার বিশ্ব অঙ্গনে অন্যতম পরিচয় ফুটবল। সেই ফুটবলে তারা শেষ বিশ্বকাপ যেতে ৩৬ বছর আগে। এরপর কয়েকবার কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। এবার সেসব গেরো কাটিয়ে বিশ্বকাপটা নিজেদের করেই নিল মেসিরা।