ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স লড়াইয়ের ১৫ পরিসংখ্যান

আজ রাত ৯টায় বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা। দুদলের জন্যই এটা নিজেদের তৃতীয়বার শিরোপা জেতার সুযোগ। ৩৬ বছর ধরে শিরোপা খরায় ভোগা আর্জেন্টিনা পুরো বিশ্বকাপেই খেলেছে উজ্জীবিত ফুটবল। অন্যদিকে ফ্রান্সও শুরু থেকেই খেলে এসেছে অপ্রতিরোধ্যভাবে। তাই শিরোপার লড়াইটা নিশ্চিতভাবেই বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে।

২৮ দিনব্যাপী কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে কারা জিততে যাচ্ছে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল। তবে লড়াইকে ঘিরে আছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। রাতে ফাইনালের লড়াইয়ের আগে আলোচনায় আছে নানা পরিসংখ্যান। সেসব পরিসংখ্যান-

১. এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। তাতে আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয়টি ম্যাচে। অন্যদিকে ফ্রান্সের জয় তিনটি ম্যাচে। অপর তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

২. বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। ১৯৩০ বিশ্বকাপে ১-০ গোলে ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ২-১ গোলে প্রথম দুটি মোকাবেলায় জয় পায় আর্জেন্টিনা। তবে সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে ৪-৩ গোলে জয় পায় ফ্রান্স।

৩. নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে ট্রফি ঘরে তুলেছিল তারা, রানার্স আপ হয়েছিল ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে।

৪. কাতারের আগে তিনবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা তারা, রানার্স আপ হয় ২০০৬ সালে।

৫. সবশেষ ৪২ ম্যাচে মাত্র একবারই হেরেছে লিওনেল স্কালোনির দল। এই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারে তারা।

৬. ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম ম্যাচ হারার পর শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ার হাতছানি আর্জেন্টিনার সামনে। ২০১০ সালে প্রথমবার এই কীর্তি দেখিয়েছিল স্পেন।

৭. এবারের বিশ্বকাপে মোট ২১টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন অ্যান্টনি গ্রিজম্যান। যা চলতি বিশ্বকাপে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। ১৮টি সুযোগ তৈরি করে তার ঠিক পরেই আছেন মেসি।

৮. পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে সমানে সমানে লড়ছেন দুই শিবিরের দুই তারকা মেসি ও এমবাপে। অ্যাসিস্টের দৌঁড়েও এগিয়ে রয়েছেন ক্ষুদে জাদুকর। তার তিনটি অ্যাসিস্টের বিপরীতে এমবাপের অ্যাসিস্ট দুটি।

৯. তৃতীয় আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে মেসি। ১৯৩০ বিশ্বকাপে গুইলারমো স্তাবিলে ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে মারিও ক্যাম্পেস পেয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার এই পুরস্কার।

১০. দ্বিতীয় ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে এমবাপে।

১১. সর্বশেষ ২০০২ সালে টানা দুটি (তিনটি) বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব দেখিয়েছিল ব্রাজিল। এবার ফ্রান্সও নাম লেখালো তাতে। দেশমের শিষ্যদের সামনে আছে তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানিও। এই কীর্তি আছে কেবল ইতালি (১৯৩৪ ও ১৯৩৮) ও ব্রাজিলের (১৯৫৮ ও ১৯৬২)।

১২. কাতারে এখন পর্যন্ত ১২টি গোল করেছে আর্জেন্টিনা যা ১৯৮৬ সালে তাদের সর্বশেষ শিরোপা জয়ের আসরের তুলনায় কেবল দুটি কম।

১৩. বিশ্বকাপে পেনাল্টি শ্যুটআউটে সেরা সাফল্য আর্জেন্টিনার। এখন পর্যন্ত ছয়বার এ ভাগ্য পরীক্ষায় নেমে পাঁচবার জিতেছে দলটি। একমাত্র হারটি ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে।

১৪. সৌদির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। পরের পাঁচ ম্যাচে মাত্র তিন গোল হজম করেছে স্কালোনির শিষ্যরা। তিনটি ম্যাচে ক্লিন শিট পেয়েছে তারা।

১৫. এবারের বিশ্বকাপে একটি ক্লিন শিট রাখতে পেরেছে ফ্রান্স। সবশেষ সেমি-ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে। জুন থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ১২টি ম্যাচে মাত্র দুইবার এই কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছিল দেশমের শিষ্যরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স লড়াইয়ের ১৫ পরিসংখ্যান

আপডেট সময় ০৭:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

আজ রাত ৯টায় বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা। দুদলের জন্যই এটা নিজেদের তৃতীয়বার শিরোপা জেতার সুযোগ। ৩৬ বছর ধরে শিরোপা খরায় ভোগা আর্জেন্টিনা পুরো বিশ্বকাপেই খেলেছে উজ্জীবিত ফুটবল। অন্যদিকে ফ্রান্সও শুরু থেকেই খেলে এসেছে অপ্রতিরোধ্যভাবে। তাই শিরোপার লড়াইটা নিশ্চিতভাবেই বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে।

২৮ দিনব্যাপী কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে কারা জিততে যাচ্ছে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা মুশকিল। তবে লড়াইকে ঘিরে আছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। রাতে ফাইনালের লড়াইয়ের আগে আলোচনায় আছে নানা পরিসংখ্যান। সেসব পরিসংখ্যান-

১. এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। তাতে আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয়টি ম্যাচে। অন্যদিকে ফ্রান্সের জয় তিনটি ম্যাচে। অপর তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

২. বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। ১৯৩০ বিশ্বকাপে ১-০ গোলে ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ২-১ গোলে প্রথম দুটি মোকাবেলায় জয় পায় আর্জেন্টিনা। তবে সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে ৪-৩ গোলে জয় পায় ফ্রান্স।

৩. নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে ট্রফি ঘরে তুলেছিল তারা, রানার্স আপ হয়েছিল ১৯৩০, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে।

৪. কাতারের আগে তিনবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ফ্রান্স। ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা তারা, রানার্স আপ হয় ২০০৬ সালে।

৫. সবশেষ ৪২ ম্যাচে মাত্র একবারই হেরেছে লিওনেল স্কালোনির দল। এই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারে তারা।

৬. ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসের দ্বিতীয় দল হিসেবে প্রথম ম্যাচ হারার পর শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ার হাতছানি আর্জেন্টিনার সামনে। ২০১০ সালে প্রথমবার এই কীর্তি দেখিয়েছিল স্পেন।

৭. এবারের বিশ্বকাপে মোট ২১টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন অ্যান্টনি গ্রিজম্যান। যা চলতি বিশ্বকাপে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ। ১৮টি সুযোগ তৈরি করে তার ঠিক পরেই আছেন মেসি।

৮. পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে সমানে সমানে লড়ছেন দুই শিবিরের দুই তারকা মেসি ও এমবাপে। অ্যাসিস্টের দৌঁড়েও এগিয়ে রয়েছেন ক্ষুদে জাদুকর। তার তিনটি অ্যাসিস্টের বিপরীতে এমবাপের অ্যাসিস্ট দুটি।

৯. তৃতীয় আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে মেসি। ১৯৩০ বিশ্বকাপে গুইলারমো স্তাবিলে ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে মারিও ক্যাম্পেস পেয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার এই পুরস্কার।

১০. দ্বিতীয় ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে এমবাপে।

১১. সর্বশেষ ২০০২ সালে টানা দুটি (তিনটি) বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব দেখিয়েছিল ব্রাজিল। এবার ফ্রান্সও নাম লেখালো তাতে। দেশমের শিষ্যদের সামনে আছে তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানিও। এই কীর্তি আছে কেবল ইতালি (১৯৩৪ ও ১৯৩৮) ও ব্রাজিলের (১৯৫৮ ও ১৯৬২)।

১২. কাতারে এখন পর্যন্ত ১২টি গোল করেছে আর্জেন্টিনা যা ১৯৮৬ সালে তাদের সর্বশেষ শিরোপা জয়ের আসরের তুলনায় কেবল দুটি কম।

১৩. বিশ্বকাপে পেনাল্টি শ্যুটআউটে সেরা সাফল্য আর্জেন্টিনার। এখন পর্যন্ত ছয়বার এ ভাগ্য পরীক্ষায় নেমে পাঁচবার জিতেছে দলটি। একমাত্র হারটি ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে।

১৪. সৌদির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। পরের পাঁচ ম্যাচে মাত্র তিন গোল হজম করেছে স্কালোনির শিষ্যরা। তিনটি ম্যাচে ক্লিন শিট পেয়েছে তারা।

১৫. এবারের বিশ্বকাপে একটি ক্লিন শিট রাখতে পেরেছে ফ্রান্স। সবশেষ সেমি-ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে। জুন থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ১২টি ম্যাচে মাত্র দুইবার এই কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছিল দেশমের শিষ্যরা।