স্বপ্নের ফানুস উড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। সবে ধন নীলমণি-লিওনেল মেসি। তাকে ঘিরেই যতো প্রত্যাশা। আর মাত্র দুটো ম্যাচ, যেখানে জিতলেই ধরা দেবে স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি। তার আগে সেই ১৯৮৬ সালের স্মৃতিতে বুঁদ আর্জেন্টাইনরা। সেই বছরই শেষবার বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। ডিয়াগো ম্যারাডোনা খুশির বন্যায় ভাসিয়েছিলেন তাদের। তারপর থেকে বিশ্বকাপ মানেই একরাশ হতাশাই সঙ্গী!
তবে এবার মেসি যখন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় দাঁড়িয়ে তখন ঠিকই ট্রফিতে চোখ আর্জেন্টিনার। সমীকরণ মেলানোর এই ধাপে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় ক্রোয়েশিয়া পরীক্ষা। সেমি-ফাইনালের এই লড়াইয়ে জিতলেই দল পা রাখবে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে।
সামনের দুই ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য হোর্হে ভালদানো। বিশেষ করে মেসি যখন দলে তখন আশাবাদী হতেই হয়। ম্যারাডোনার সতীর্থ ভালদানো বলছিলেন, ‘লিওনেল (মেসি) দারুণ খেলছে। এবার দলের সঙ্গে আগের তুলনায় অনেক বেশি সম্পৃক্ত ও। তার নিজের খেলাটাও খেলে যাচ্ছে। আমি তো বলবো মেসি এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা।’
ভালদানো সঙ্গে আরও যোগ করলেন, ‘দেখুন, আমি মেসিকে যেদিন প্রথম দেখি, সেদিন থেকেই ওর প্রতি মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। সময় তো কম হয়নি। ২০ বছর তো হয়েই গেল। আমি বলবো মেসিকে যে পছন্দ করে না, সে আসলে ফুটবলই বোঝে না।’
ঠিক তাই, দারুণ মেজাজে আছেন মেসি। গোটা ক্যারিয়ারটাই একই ছন্দে রেখেছেন। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটা এরপর বেশ ভালোভাবেই ফিরেছে। দলের দুর্দান্ত এ কামব্যাকে সবচেয়ে বড় অবদান অধিনায়ক মেসির। বিশ্বকাপের এ মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই প্লেমেকার। গোল করা এবং করানোতেও দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার মতো কিংবদন্তির ক্যারিয়ার পূর্ণতা পেতে যে ওই সোনার ট্রফিটা চাই!