বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর প্লেস অব অকারেন্স (পিও) উল্লেখ করে দলটির কার্যালয় বন্ধ করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একাধিক মামলা, দলীয় শীর্ষ নেতাসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও শর্ত সাপেক্ষে গোলাপবাগে সমাবেশের পর শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ১১টার দিকে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ ছেড়েছে তারা। সেই সঙ্গে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল সড়কও খুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কার্যালয় খুলে দিলেও রোববার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত আসেননি কোনো নেতাকর্মী।
নয়াপল্টনে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্য সোহেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশ তালা ঝুলিয়েছিল। এই কয়দিন বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখেছি। তবে কাল রাত ১০টার পর পুলিশ চলে যায়। পরে কাল রাতেই কার্যালয় উন্মুক্ত করা হয়। তবে আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত কার্যালয়ের খুলে দেওয়া হয়নি।
রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে, পাশের সিঁড়ির গেটও তালাবদ্ধ। সেখানে ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায় নিরাপত্তা কর্মী সোহেলকে। নিচতলার পুরো ফ্লোর এলোমেলো রয়ে গেছে। এ সময় বড় বড় ডেগ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে গত তিনদিন ধরে পুলিশি বেরিকেটে আটকে রাখা নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ে এখনো বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সড়ক থেকে কাঁটাতারের বেরিকেট সরানো হয়েছে। তবে দুই মোড়েই পুলিশের এপিসি ও জলকামান রাখা হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জানান, সকাল থেকে এই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বেরিকেট না থাকায় যান চলাচল করছে। তবে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে প্রশাসন থেকে কোনো বাধা নেই, বিএনপি সিনিয়র নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর তাদের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে নাশকতামূলক উপকরণ জব্দ করা হয়। পরে মামলা দায়ের হলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের পর বিএনপির দলীয় কার্যালয়কে আমরা আইনের ভাষায় বলছি, প্লেস অফ অকারেন্স (পিও) বলে উল্লেখ করেছি। যে কারণে আমরা বিএনপির দলীয় কার্যালয় কর্ডন করা হয়েছিল। তবে কাল রাতেই কার্যালয়টি খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। বিএনপি নেতাকর্মীরা চাইলেই কার্যালয়ে এসে তাদের দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারেন।