ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

সামনে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই : মির্জা ফখরুল

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের দিকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আমাদের সমাবেশ সফল করতে হবে। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সামনে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে বিএনপি।

তিনি বলেন, মামলা-হামলা গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে প্রস্তুতি নিতে হবে। পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন বেগবান করতে হবে। অতীতেও পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ বিপন্ন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা এটাই করে, এটাই তাদের গুণ। তারা ভয় পায় এবং লুট করে।

ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তারা জনগণের সঙ্গে থাকে না বরং প্রতারণা করে। ভুল বুঝিয়ে ভোট নেয়। এখন তাদের আসল চেহারা বের হয়ে গেছে।

ফখরুল বলেন, আমাদের গত ৯টি বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ-লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। সাঁতার কেটে নদী পাড়ি দিয়ে, হেঁটে, সাইকেলে চড়ে, চিড়া-মুড়ি গুড় নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছে মানুষ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন। তারা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। তারা কিছুই চাননি। শুধু মুক্তি চান। যদি গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চাই তাহলে যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ সফল করতে হবে।

বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

সামনে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৮:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের দিকে শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আমাদের সমাবেশ সফল করতে হবে। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সামনে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে বিএনপি।

তিনি বলেন, মামলা-হামলা গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে প্রস্তুতি নিতে হবে। পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন বেগবান করতে হবে। অতীতেও পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ বিপন্ন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা এটাই করে, এটাই তাদের গুণ। তারা ভয় পায় এবং লুট করে।

ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তারা জনগণের সঙ্গে থাকে না বরং প্রতারণা করে। ভুল বুঝিয়ে ভোট নেয়। এখন তাদের আসল চেহারা বের হয়ে গেছে।

ফখরুল বলেন, আমাদের গত ৯টি বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ-লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। সাঁতার কেটে নদী পাড়ি দিয়ে, হেঁটে, সাইকেলে চড়ে, চিড়া-মুড়ি গুড় নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছে মানুষ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন। তারা সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। তারা কিছুই চাননি। শুধু মুক্তি চান। যদি গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চাই তাহলে যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ সফল করতে হবে।

বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।