ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

সোহরাওয়ার্দীর বাইরে সমাবেশের প্রস্তাব এলে বিবেচনা করবে বিএনপি

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের স্থান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিকল্প প্রস্তাব এলে সেটা বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, বিকল্প স্থান যদি আমাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়, যদি নিরাপদ মনে হয় সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে। এই মুহূর্তে বিকল্প নাম বলা যাচ্ছে না। নয়াপল্টনে আমাদের সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত আছে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশে ছাড় দেওয়া হলেও ঢাকায় সমাবেশে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ছাড় দেওয়া হবে না— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা আব্বাস। বলেন, বাংলাদেশ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। ওবায়দুল কাদের উনি তো এখন প্রলাপ করছেন। ছাড় দেওয়ার কি আছে, তাছাড়া ছাড় দেওয়ার উনি কে?

তিনি বলেন, সারা দেশে আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করব। সেই সমাবেশে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমের হয়ত ঘোষণা আসতে পারে।

সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এখনও সময় আছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করুন, গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন, হামলা-মামলা বন্ধ করুন। অন্যথায় যদি পাল্টা ঘটনা ঘটে তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা বলছেন একটি সমাবেশ দিয়ে সরকারের পতন হয় না। তাদের এ ধরনের মন্তব্যের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমিও বলছি একটি সভা সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের পতন হয় না। তারপরও বুঝি না সরকার কেন ভয় পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সফু, রফিকুল আলম মজনু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

সোহরাওয়ার্দীর বাইরে সমাবেশের প্রস্তাব এলে বিবেচনা করবে বিএনপি

আপডেট সময় ০৪:০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের স্থান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিকল্প প্রস্তাব এলে সেটা বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, বিকল্প স্থান যদি আমাদের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়, যদি নিরাপদ মনে হয় সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে। এই মুহূর্তে বিকল্প নাম বলা যাচ্ছে না। নয়াপল্টনে আমাদের সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত আছে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।

সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশে ছাড় দেওয়া হলেও ঢাকায় সমাবেশে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ছাড় দেওয়া হবে না— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা আব্বাস। বলেন, বাংলাদেশ কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। ওবায়দুল কাদের উনি তো এখন প্রলাপ করছেন। ছাড় দেওয়ার কি আছে, তাছাড়া ছাড় দেওয়ার উনি কে?

তিনি বলেন, সারা দেশে আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করব। সেই সমাবেশে আমাদের পরবর্তী কার্যক্রমের হয়ত ঘোষণা আসতে পারে।

সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এখনও সময় আছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করুন, গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন, হামলা-মামলা বন্ধ করুন। অন্যথায় যদি পাল্টা ঘটনা ঘটে তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা বলছেন একটি সমাবেশ দিয়ে সরকারের পতন হয় না। তাদের এ ধরনের মন্তব্যের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমিও বলছি একটি সভা সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের পতন হয় না। তারপরও বুঝি না সরকার কেন ভয় পাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণ আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সফু, রফিকুল আলম মজনু, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।