ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস পাকিস্তানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের ‘বিরল’ সফর বেরোবিতে ১৫ বছর পর প্রভাষক পদ ফিরে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের নেত্রকোনায় কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে হত্যা লালমনিরহাটে কলা চাষে ঝুঁকছে চাষীরা। গরু চুরি করে ভূরিভোজন মাদারগঞ্জে সেই দম্পতিসহ তিনজনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার মাধবপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিলন মেলা ও আলোচনা সভা ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ। ৩০ লক্ষাধিক টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত: প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে : গোয়াইনঘাটে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন

বাঙালির চরিত্রই অসম্ভবকে সম্ভব করা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ও আমার পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করব। তখন অনেকে বলেছে এটা কখনও সম্ভব না। অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি তারা বলেছে, এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করা এটাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারব, আমরা করেছি।  

আজ (সোমবার) সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স- ২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স -২০২২ এর গ্রাজুয়েশন সেরেমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনও অনেকে মুচকি হেসেছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। আজ গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করে। এই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে আমাদের সমুদ্রসীমা আইন করে কিন্তু জাতিসংঘ করে ’৮২ সালে। আমাদের ল্যান্ড বাউন্ডারি, অর্থাৎ বাংলাদেশের যে ভূখণ্ডের অধিকার রয়েছে সেই আইনটাও কিন্তু জাতির পিতা করে দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক সংবিধান ঠিক করে দিয়ে যান। ভারতের সঙ্গে ছিটমহলের বিষয়ে কথা হয়। কিন্তু দুভার্গ্যের বিষয়, মাঝখানে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে উদ্যোগ নেয়। আজকে আমরা ভারতের সঙ্গে ছিটমহলগুলো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিনিময় করতে পেরেছি। আমাদের যে ভূখণ্ড, আমাদের যে সীমারেখা তা ঠিক করতে পেরেছি। এখন আমরা সীমান্ত সড়কও নির্মাণ করছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে কোনো বিপদে, দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস তারা অর্জন করেছে। বিদেশের শান্তিরক্ষা মিশনেও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রাখছে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী। আমাদের মেয়েরা জাতিসংঘে প্রসংশা পাচ্ছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস

বাঙালির চরিত্রই অসম্ভবকে সম্ভব করা

আপডেট সময় ০২:১১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ও আমার পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম নিজের অর্থে পদ্মা সেতু করব। তখন অনেকে বলেছে এটা কখনও সম্ভব না। অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যখন আলোচনা করেছি তারা বলেছে, এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করা এটাই বাঙালির চরিত্র। এটা আমরা করতে পারব, আমরা করেছি।  

আজ (সোমবার) সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স- ২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স -২০২২ এর গ্রাজুয়েশন সেরেমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করা নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখনও অনেকে মুচকি হেসেছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। আজ গ্রামে বসে ছেলে-মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করে। এই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে আমাদের সমুদ্রসীমা আইন করে কিন্তু জাতিসংঘ করে ’৮২ সালে। আমাদের ল্যান্ড বাউন্ডারি, অর্থাৎ বাংলাদেশের যে ভূখণ্ডের অধিকার রয়েছে সেই আইনটাও কিন্তু জাতির পিতা করে দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক সংবিধান ঠিক করে দিয়ে যান। ভারতের সঙ্গে ছিটমহলের বিষয়ে কথা হয়। কিন্তু দুভার্গ্যের বিষয়, মাঝখানে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে উদ্যোগ নেয়। আজকে আমরা ভারতের সঙ্গে ছিটমহলগুলো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে বিনিময় করতে পেরেছি। আমাদের যে ভূখণ্ড, আমাদের যে সীমারেখা তা ঠিক করতে পেরেছি। এখন আমরা সীমান্ত সড়কও নির্মাণ করছি।

সরকারপ্রধান বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যে কোনো বিপদে, দুর্যোগে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস তারা অর্জন করেছে। বিদেশের শান্তিরক্ষা মিশনেও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ভূমিকা রাখছে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী। আমাদের মেয়েরা জাতিসংঘে প্রসংশা পাচ্ছে।