ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার নিশ্চিত জেতা ম্যাচ হেরে যে ব্যাখ্যা দিলেন সোহান আজমির শরিফের নিচে শিব মন্দির, যা বলল ভারতীয় আদালত ইসকন ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্ট পাবনা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ৬ ডিসেম্বর নব্য বিএনপিরাই সন্ত্রাস নৈরাজ্যের সাথে জড়িত, আমিনুল হক বেরোবির শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া গেল ইসকন বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসেছেন সারজিস-হাসনাত হজ্জ ব্যবস্থাপনা ২০২৫ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নাটোরে বড়াইগ্রাম আ’লীগ কর্মীর বাড়িতে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রিজভী

কাঁদতে কাঁদতেই বিদায় নিলেন সুয়ারেজ

বয়সটা ৩৫ ছুঁয়ে ফেলেছেন। বার্সেলোনার জার্সিতে মাত্র কয়েক বছর আগেই স্বপ্নযাত্রা পার করে এলেও সেই ফর্মটাও নেই এখন আর। বলতে গেলে, এটাই শেষ বিশ্বকাপ ছিল লুইস সুয়ারেজের। কিন্তু দেশের হয়ে সেই শেষ বিশ্বকাপটাও রাঙানো হল না উরুগুয়ের তারকা এই ফরোয়ার্ডের। নিজের সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ থেকে তাকে বিদায় নিতে হল অশ্রুসিক্ত নয়নে।

লাতিন আমেরিকার শক্তিশালী দল উরুগুয়ে এবারের বিশ্বকাপে ছিল বেশ খাপছাড়া। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই বর্ণহীন ছিল কাভানি-সুয়ারেজদের দল। ফলাফলও এসেছে তেমনই। গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচের একটিতেও জেতেনি দলটি। নকআউট পর্বের টিকেট কাটতে তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না লাতিন দেশটির।

উরুগুয়ের শেষ ষোল নিশ্চিত করা নির্ভরশীল ছিল দক্ষিণ কোরিয়া-পর্তুগালের ম্যাচের ওপর। সে ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলা ছিল ১-১ গোলে সমতায়। ম্যাচ যদি এভাবেই শেষ হতো তবে সহজেই নক আউটে উঠে যেত উরুগুয়ে। কিন্তু ৯০ মিনিটে পর গোল করে বসে কোরিয়া।

উরুগুয়ের ম্যাচের তখন ৮৫ মিনিটের মতো চলে। হঠাৎ করেই বিহ্বল হয়ে পড়েন উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা। লুইস সুয়ারেজ, দারউইন নুনেজদের চোখ ভরে এলো জলে। হতাশা, উৎকণ্ঠা বোঝা গেল স্পষ্ট।  বেঞ্চ থেকে সুয়ারেজ যেন সতীর্থদের বলতে চাইলেন, যেভাবেই হোক আরেকটি গোল দাও। ৩৫ বছর বয়সী এ ফুটবলারের যে তখন কিছু করারও নেই, কারণ জয় প্রায় নিশ্চিত বলে আগেভাগেই তাকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ। শেষমেষ গোল আর এলো না, তাই বিদায়ও এড়াতে পারল না উরুগুয়ে।

তবে সুয়ারেজ জানতেন, আরও একটি গোল করলেই পরের রাউন্ডে যেতে পারবেন তারা।  তবে এডিনসন কাভানিরা অনেক চেষ্টা করেও গোলটা করতে পারেননি। একটা করে গোল মিস হয়েছে, সুয়ারেজের মুখ তত কালো হয়েছে। জার্সি দিয়ে অর্ধেক মুখ ঢেকে বসেছিলেন কয়েক মিনিট। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল জল। খেলার শেষ বাঁশি বাজতেই জার্সিতে মুখ ঢেকে ফেলেন তিনি। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কাঁদছেন। আরও একটি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের যন্ত্রণা তখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল তাকে

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার

কাঁদতে কাঁদতেই বিদায় নিলেন সুয়ারেজ

আপডেট সময় ০১:০৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

বয়সটা ৩৫ ছুঁয়ে ফেলেছেন। বার্সেলোনার জার্সিতে মাত্র কয়েক বছর আগেই স্বপ্নযাত্রা পার করে এলেও সেই ফর্মটাও নেই এখন আর। বলতে গেলে, এটাই শেষ বিশ্বকাপ ছিল লুইস সুয়ারেজের। কিন্তু দেশের হয়ে সেই শেষ বিশ্বকাপটাও রাঙানো হল না উরুগুয়ের তারকা এই ফরোয়ার্ডের। নিজের সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ থেকে তাকে বিদায় নিতে হল অশ্রুসিক্ত নয়নে।

লাতিন আমেরিকার শক্তিশালী দল উরুগুয়ে এবারের বিশ্বকাপে ছিল বেশ খাপছাড়া। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই বর্ণহীন ছিল কাভানি-সুয়ারেজদের দল। ফলাফলও এসেছে তেমনই। গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচের একটিতেও জেতেনি দলটি। নকআউট পর্বের টিকেট কাটতে তাই গ্রুপের শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না লাতিন দেশটির।

উরুগুয়ের শেষ ষোল নিশ্চিত করা নির্ভরশীল ছিল দক্ষিণ কোরিয়া-পর্তুগালের ম্যাচের ওপর। সে ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলা ছিল ১-১ গোলে সমতায়। ম্যাচ যদি এভাবেই শেষ হতো তবে সহজেই নক আউটে উঠে যেত উরুগুয়ে। কিন্তু ৯০ মিনিটে পর গোল করে বসে কোরিয়া।

উরুগুয়ের ম্যাচের তখন ৮৫ মিনিটের মতো চলে। হঠাৎ করেই বিহ্বল হয়ে পড়েন উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা। লুইস সুয়ারেজ, দারউইন নুনেজদের চোখ ভরে এলো জলে। হতাশা, উৎকণ্ঠা বোঝা গেল স্পষ্ট।  বেঞ্চ থেকে সুয়ারেজ যেন সতীর্থদের বলতে চাইলেন, যেভাবেই হোক আরেকটি গোল দাও। ৩৫ বছর বয়সী এ ফুটবলারের যে তখন কিছু করারও নেই, কারণ জয় প্রায় নিশ্চিত বলে আগেভাগেই তাকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ। শেষমেষ গোল আর এলো না, তাই বিদায়ও এড়াতে পারল না উরুগুয়ে।

তবে সুয়ারেজ জানতেন, আরও একটি গোল করলেই পরের রাউন্ডে যেতে পারবেন তারা।  তবে এডিনসন কাভানিরা অনেক চেষ্টা করেও গোলটা করতে পারেননি। একটা করে গোল মিস হয়েছে, সুয়ারেজের মুখ তত কালো হয়েছে। জার্সি দিয়ে অর্ধেক মুখ ঢেকে বসেছিলেন কয়েক মিনিট। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল জল। খেলার শেষ বাঁশি বাজতেই জার্সিতে মুখ ঢেকে ফেলেন তিনি। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কাঁদছেন। আরও একটি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের যন্ত্রণা তখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল তাকে