ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উত্তেজনার নেপথ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল হাসিনার শাসনামল ছিল ইতিহাসের কলঙ্ক: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বোরহানউদ্দিন বিএনপির কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে: মাফরুজা সুলতানা পাঁচবিবির ইউএনও জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার মঠবাড়িয়ায় মুদি মনোহরী দোকান থেকে নগদ টাকা সহ মালামাল চুরির অভিযোগ রাজবাড়ী সদরের আলীপুরে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার জান্নাতুলের, এলাকায় চাঞ্চল্য শেখ হাসিনার পতন ও বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের সখ্যতার নতুন খেলা” গুলশানে বেদখল হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি, জানা গেল বাড়িগুলোর নাম-ঠিকানা প্রয়োজন ছাড়া প্রকল্প তৈরি নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ কোটি টাকা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্মকর্তারা।

প্রেমের বিয়েতে বাধা, অভিভাবকের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যার চেস্টা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ কে আর প্রত্যাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মারিয়া আক্তার ও একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালে এস.এস.সি ব্যাচের ছাত্র মো. অপুর প্রেমকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাঁসা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাসুদ আলমের বড় মেয়ে মারিয়া ও ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে মো. অপু গাজী পালিয়ে বিয়ে করে।

পরে মেয়ের মাসহ আত্মীয়-স্বজন মারিয়াকে উদ্ধার করে মোটিভেশন করিয়ে ছেলেকে তালাক দেয়। কিন্তু অপুর প্রেমের শক্তির কাছে আবারও নতজানু হতে হয় মারিয়াকে। গত ২০ নভেম্বর রবিবার কোর্টে গিয়ে ২য় বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা।

বিয়ের পর অপু তার বৌকে নিয়ে উঠেন ভগ্নিপতির বাড়ি ফরিদগঞ্জের মিরপুরে। সেখানে তারা সুখেই দিনাতিপাত করছিলো। তাদের সুখে অসুখ হয়ে আসিন হন মারিয়ার মা তাছলিমা বেগম। তিনি এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের আলোকে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার এস.আই মহিউদ্দিন ছেলের অভিভাবককের সাথে কথা বললে তারা মারিয়াকে গত ২৬ নভেম্বর তার মায়ের হাতে তুলে দেন।

এদিকে মারিয়াকে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়ার কয়েক ঘন্টার পরই সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার মা ও বাড়ির লোকজন তাকে আত্মহত্যার হাত থেকে অল্পের জন্য বাঁচিয়ে তুলেন। মারিয়া আত্মহত্যা করতে গেছে এ সংবাদ শুনে অপুও তার ঘরে থাকা কীটনাশক খাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তার পরিবারের লোকজনের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মারিয়ার মা বলেন, আমার মেয়ে অপ্রাপ্ত।

তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দেইনি এটা তাদের কপাল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে আ/ত্ম*হ/ত্যা করার চেষ্টা করেনি। রুমের দরজা বন্ধ দেখে আমি চিৎকার করি, তখন সে নিজেই দরজা খুলে দেয়। এ বিষয়ে মারিয়া আক্তার বলেন, আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। কেন এমন করতে গেলে এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে- জানিনা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মারিয়া বলে- পুলিশ বলেছে আমি যদি এ বাড়িতে (বাপের বাড়ি) না আসি, তাহলে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাবে।

তাকে যদি ধরে নিয়ে গিয়ে মারে, সে ভয়ে আমি চলে আসি। এ বিষয়ে অপুর মা সাংবাদিকদের বলেন, অপু এই মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন প্রেম করেছে এবং তারা বিয়েও করেছে। এটা নিয়ে সমস্যাও হয়েছে, তাই ছেলে বিষ খাওয়ার চেষ্টাও করেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দক্ষিণখানে পাষণ্ড স্বামী ও তার বন্ধুরা মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণ! বিচারের আশায় ধর্ষিতা নারী

প্রেমের বিয়েতে বাধা, অভিভাবকের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যার চেস্টা

আপডেট সময় ১২:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ কে আর প্রত্যাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মারিয়া আক্তার ও একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালে এস.এস.সি ব্যাচের ছাত্র মো. অপুর প্রেমকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাঁসা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাসুদ আলমের বড় মেয়ে মারিয়া ও ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে মো. অপু গাজী পালিয়ে বিয়ে করে।

পরে মেয়ের মাসহ আত্মীয়-স্বজন মারিয়াকে উদ্ধার করে মোটিভেশন করিয়ে ছেলেকে তালাক দেয়। কিন্তু অপুর প্রেমের শক্তির কাছে আবারও নতজানু হতে হয় মারিয়াকে। গত ২০ নভেম্বর রবিবার কোর্টে গিয়ে ২য় বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা।

বিয়ের পর অপু তার বৌকে নিয়ে উঠেন ভগ্নিপতির বাড়ি ফরিদগঞ্জের মিরপুরে। সেখানে তারা সুখেই দিনাতিপাত করছিলো। তাদের সুখে অসুখ হয়ে আসিন হন মারিয়ার মা তাছলিমা বেগম। তিনি এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের আলোকে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার এস.আই মহিউদ্দিন ছেলের অভিভাবককের সাথে কথা বললে তারা মারিয়াকে গত ২৬ নভেম্বর তার মায়ের হাতে তুলে দেন।

এদিকে মারিয়াকে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়ার কয়েক ঘন্টার পরই সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার মা ও বাড়ির লোকজন তাকে আত্মহত্যার হাত থেকে অল্পের জন্য বাঁচিয়ে তুলেন। মারিয়া আত্মহত্যা করতে গেছে এ সংবাদ শুনে অপুও তার ঘরে থাকা কীটনাশক খাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তার পরিবারের লোকজনের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মারিয়ার মা বলেন, আমার মেয়ে অপ্রাপ্ত।

তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দেইনি এটা তাদের কপাল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে আ/ত্ম*হ/ত্যা করার চেষ্টা করেনি। রুমের দরজা বন্ধ দেখে আমি চিৎকার করি, তখন সে নিজেই দরজা খুলে দেয়। এ বিষয়ে মারিয়া আক্তার বলেন, আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। কেন এমন করতে গেলে এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে- জানিনা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মারিয়া বলে- পুলিশ বলেছে আমি যদি এ বাড়িতে (বাপের বাড়ি) না আসি, তাহলে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাবে।

তাকে যদি ধরে নিয়ে গিয়ে মারে, সে ভয়ে আমি চলে আসি। এ বিষয়ে অপুর মা সাংবাদিকদের বলেন, অপু এই মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন প্রেম করেছে এবং তারা বিয়েও করেছে। এটা নিয়ে সমস্যাও হয়েছে, তাই ছেলে বিষ খাওয়ার চেষ্টাও করেছে।