জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করায় আরএন স্পিনিং মিলসের সাবেক পরিচালক কিম জং সুকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা দায়েরের আবেদন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসারের কাছে এ-সংক্রান্ত একটি আবেদন করেছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিএসইসির একজন নির্বাহী পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের কারণে কোম্পানিটির সাবেক পরিচালক কিম জং সুকসহ ৫ পরিচালককে ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেনি কিম জং সুক। তাই তার বিরুদ্ধে সরকারি দাবি আদায় আইন, ১৯১৩-এর বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় আরএন স্পিনিং মিলস। চলতি বছরের জুনে কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর একেএম হাফিজ আহমেদ (অব.) ও আরও তিন পরিচালকসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যবহারে অনিয়ম, বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদ লেনদেন এবং একই গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে লেনদেনের প্রমাণ পায় বিএসইসি।
এ কারণে ৫ জনকে মোট ১ কোটি টাকা জরিমানা করে বিএসইসি। তিন পরিচালক হলেন, পরিচালক কিম জং সুক, শিরিন ফারুক ও আব্দুল কাদের ফারুক। এর মধ্যে কোম্পানির সাবেক পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই পরিচালক এখন পর্যন্ত বিএসইসি জরিমানার ১০ লাখ টাকা পরিশোধন করেনি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএসইসি।
বিএসইসির আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আরএন স্পিনিং মিলসের পরিচালক কিম জং সুক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর সেকশন ২সিসির অধীনে ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর জারি করা নির্দেশনার শর্ত ৬-এর বি, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর সেকশন ১৮ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর সেকশন ২সিসির অধীনে ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর জারি করা নির্দেশনার শর্ত ১৩ ও ১৬ লঙ্ঘন করেছেন। এসব আইন লঙ্ঘনের কারণে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর সেকশন ২২ মোতাবেক কমিশন কর্তৃক বর্ণিত ব্যক্তির ওপর ১০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। আরোপিত জরিমানা পরিশোধ না করায় এবং তা আদায়ের লক্ষ্যে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করার নিমিত্তে এ-সংক্রান্ত রিকিউজিশন প্রেরণ করা হলো।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ অবস্থায় বর্ণিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি সার্টিফিকেট মামলা আমলে নিয়ে সরকারি পাওনা হিসেবে দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা সরকারি দাবি আদায় আইন, ১৯১৩-এর বিধান অনুযায়ী আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।