ক্যান্সারসহ দেশে অসংক্রামক রোগগুলো ভয়াবহভাবে বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ক্যান্সারসহ সবধরনের রোগের চিকিৎসায় বিশ্বমান নিশ্চিত করতে বিএসএমএমইউর বর্তমান প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করেছে এবং নিত্যনতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসবের লক্ষ্য হলো কোনো রোগীকে যাতে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে না হয়, তা নিশ্চিত করা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার ভবনে ক্যান্সারের চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ রেডিওথেরাপি দেওয়ার লক্ষ্যে ‘ট্রেনিং কোর্স ফর থ্রিডিসিআরটি ইন হেড নেক অ্যান্ড থোরাসিক ক্যান্সার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীদের সেবার জন্য সবসময় আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে আসছে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় বর্তমানে রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর পাশপাশি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কষ্ট লাঘবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে। আমাদের রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করার দিকে বেশি মনোযোগী হবে।
কর্মশালায় ইন্টারন্যাশনাল অটোমেটিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) হয়ে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেন ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জে. পি আগরওয়াল, টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালের মেডিকেল ফিজিস্ট জোগেশ গান্ধী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদ হোসেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, মেডিকেল অনকোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. সারোয়ার আলম, ক্লিনিক্যাল অনকোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. মো নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, সুপার স্পেশালাইজড হাসাপাতাল ফেজ-২ এর প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. এসএম ইয়ার- ই- মাহাবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাজধানীর ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী হাসপাতালের ৩০ জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন।