সারাদেশে চলমান রয়েছে, চাঁদাবাজ, দখলবাজদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান। তবুও থেমে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী পূর্ব থানার ৫৭নং ওয়ার্ডের টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড দখল করে চাঁদাবাজি। যার নেপথ্যে রয়েছে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির। টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ডে থেকে আব্দুল্লাহপুর ব্রিজ পর্যন্ত চাঁদাবাজি করেন আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফির।
জানা যায়, টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী-স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছেলের নামে এখনো চলছে এই চাঁদাবাজি। আর সে চাঁদাবাজির রসদ জোগাতে টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ডে ফুটপাত দখল করে বসানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। যার ফলে যানজট হট্টগোল লেগেই থাকছে ব্যস্ত এই এলাকায়।
টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, মিতালী পাম্পের সামনে থেকে শুরু করে আব্দুল্লাহপুর ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৩/৪ শত বিভিন্ন ধরনের দোকান পাঠ বসিয়ে প্রতি দোকান থেকে ৫০০/৬০০শত টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি ফুটপাতের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক লাইট ব্যবহার বাবদ প্রতিদিন নেওয়া হয় ২০০/৩০০ টাকা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক দোকান মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছেলের নামে আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফি টঙ্গী বাজার বাসস্ট্যান্ড দখল করে প্রতিদিন ফুটপাতের দোকান থেকে লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে। ফুটপাতের দোকানদাররা আরো জানান, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে ফুটপাতে চাঁদাবাজি।
এই বিষয়ে কথা বলতে আলাউদ্দিন,রুহুল ও রাফির সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করতে চাই কোন ভাবেই তা সম্ভব হয়নি।
বিস্তারিত জানতে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি অনুসন্ধান থাকবে কে এই টঙ্গী পূর্ব থানার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ছেলে? যার ছত্রছায়ায় তাঁর নামে আলাউদ্দিন, রুহুল ও রাফি প্রতিদিন লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে। আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চলমান পরবর্তী পর্বে সকল তথ্য প্রমাণসহ প্রকাশ করা হবে।
এই বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা প্রায়দিনই ফুটপাতের দোকান উঠিয়ে দেই কিন্তু কিছু স্থানীয় নেতাদের কারণে ফুটপাত দখলমুক্ত করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। যদি আমরা সঠিক তথ্য প্রমাণ পাই, তাহলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।