ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির ১০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি, চট্টগ্রামে গাড়ি জব্দ কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ফেন্সিডিল ও গাঁজা আটক সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বাতাস ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংস্কার কমিশনগুলো যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে রাজশাহীতে ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ীর সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের-মৃত্যু কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নিরাপদ আগামীর বাংলাদেশ: যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না

ঘূর্নিঝড় দানা; জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা, প্রস্তুত ৮২৯ আশ্রয় কেন্দ্র

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেছেন, সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিন মোতাবেক পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ‘দানা’ রূপ নিয়েছে।

তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় ৮২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, প্রায় নয় হাজাট জন সিপিপি সদস্য ও পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম, উদ্ধার কর্মী ও সংকেত প্রচারণায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত আশ্রয় কেন্দ্রে চার লক্ষ ১৫ হাজার দুর্গত মানুষ এবং লক্ষাধিক গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যাবে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসম জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ দপ্তরের প্রস্তুতি তথ্য তুলে ধরেন। দুর্যোগ মোকাবিলা প্রশাসন, র‍্যাব, পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্মিলিত ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিদিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্রের পরেও প্রয়োজন হলে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও ব্যবহার করা হবে। তিনি আরও বলেন, দূর্যোগ চলাকালীন সময়ে শুকনো খাবারের জন্য ১৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা ও জিআর চাল ৮শ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবার এক হাজার প্যাকেট, শিশু খাদ্য বাবদ পাঁচ লক্ষ ও গবাদিপশুর খাদ্য বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা মজুদ আছে।
প্রয়োজনে সরকারের কাছে নগদ অর্থ এবং শুকনো খাবারের চাহিদা চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।

এসময় জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝঁকিপূর্ণ বেরীবাঁধ জরুরী মেরামত ও নলকুপগুলোতে লবন পানি প্রবেশ রোধে ব্যবস্থা নেয়াসহ উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও বিদ্যুত বিভাগকে দ্রুত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল নিয়ে সার্বক্ষনিক প্রস্তুত থাকারও নির্দেশনা প্রদান করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির

ঘূর্নিঝড় দানা; জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা, প্রস্তুত ৮২৯ আশ্রয় কেন্দ্র

আপডেট সময় ১১:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেছেন, সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিন মোতাবেক পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ‘দানা’ রূপ নিয়েছে।

তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলায় ৮২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, প্রায় নয় হাজাট জন সিপিপি সদস্য ও পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম, উদ্ধার কর্মী ও সংকেত প্রচারণায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত আশ্রয় কেন্দ্রে চার লক্ষ ১৫ হাজার দুর্গত মানুষ এবং লক্ষাধিক গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যাবে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসম জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ দপ্তরের প্রস্তুতি তথ্য তুলে ধরেন। দুর্যোগ মোকাবিলা প্রশাসন, র‍্যাব, পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্মিলিত ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিদিষ্ট আশ্রয় কেন্দ্রের পরেও প্রয়োজন হলে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও ব্যবহার করা হবে। তিনি আরও বলেন, দূর্যোগ চলাকালীন সময়ে শুকনো খাবারের জন্য ১৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা ও জিআর চাল ৮শ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবার এক হাজার প্যাকেট, শিশু খাদ্য বাবদ পাঁচ লক্ষ ও গবাদিপশুর খাদ্য বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা মজুদ আছে।
প্রয়োজনে সরকারের কাছে নগদ অর্থ এবং শুকনো খাবারের চাহিদা চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।

এসময় জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝঁকিপূর্ণ বেরীবাঁধ জরুরী মেরামত ও নলকুপগুলোতে লবন পানি প্রবেশ রোধে ব্যবস্থা নেয়াসহ উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও বিদ্যুত বিভাগকে দ্রুত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল নিয়ে সার্বক্ষনিক প্রস্তুত থাকারও নির্দেশনা প্রদান করেন।