জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার স্টাফ রিপোর্টার শাহাদাত হোসেনের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতিকারী এবং তাকে হত্যার হুমকিও প্রদান করেন তারা। উক্ত ঘটনাটি গতকাল সিএমপির চান্দগাঁও থানাধীন পুরাতন চাঁদগাও এলাকায় ঘটে। এ সময় কিছু দুষ্কৃতিকারী রাস্তায় সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনকে একা পেয়ে তার গতিরোধ করে তারপর তাকে মেরে ফেলবে এবং নালায় ফেলে পুঁতে ফেলবে বলে হত্যার হুমকি দেয়।
কি ব্যাপারে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে? ঘটনা সূত্রপাত কি এ বিষয়ে সাংবাদিক শাহাদাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আলাউদ্দিন নামের এক টেম্পু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা পাবেন শাহাদাত সে টাকা চাওয়ায় নাকি আলাউদ্দিন তার পিছনে সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেন।
এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপরে অতর্কিত হামলা চালানোর চেষ্টা করে এবং আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
বিষয়টি আমি প্রথমে চাঁদগাও থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয় কে জানাই পাশাপাশি আমার গণমাধ্যম কর্মীর ভাইদেরকেও বিষয়টি অবগত করি। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে চাঁদগাও থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে এসআই রেজাউল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং আমার সহকর্মী সাংবাদিক মুরাদ,মনির,রাজু,আরিফ সাহাদাত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাকে দুর্বৃত্তকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেন।
এ সময় এস আই রেজাউল স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হন। এবং এসআই রেজাউল ও আমার গণমাধ্যম কর্মী ভাইয়েরা কিভাবে আলাউদ্দিন বিষয়টি সমাধান করবেন এ বিষয়ে তাকে পরিষ্কার করতে
বললে আলাউদ্দিন জানান আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে তিনি এ বিষয়টি সমাধান করে দিবেন।
এবং এ বিষয়ে রেজাউল ও সাংবাদিক মনির আলাউদ্দিন
থেকে স্বীকারোক্তি মূলক ভিডিও ধারণ করেন।
তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত তুহিন ও ফারুক নামের দুই ব্যক্তি সাংবাদিক শাহাদাতকে আবারো হত্যার হুমকি দেয় এবং জানিয়ে দেয় যে তারা যেকোনো সময় তাকে খালে ফেলে দিতে পারে। এদিকে, দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোঃ গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেন, “ওকে আমি চিনিনা। ও আমার পত্রিকা কেউ না।”
সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন একজন পেশাদার গণমাধ্যম কর্মী হিসাবে দীর্ঘদিন মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন চট্টগ্রামে অন্য আরো ১০ জন সাংবাদিকের মত তারও একটি পরিচিত রয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে দাপিয়ে বেড়ানো একজন সাংবাদিক। এভাবে সন্ত্রাসীরা কিভাবে একজন গণমাধ্যম কর্মীকে হুমকি দিতে পারে তাও জনগণের প্রশ্নের সৃষ্টি করে।
তাই সাংবাদিক শাহাদাত প্রকাশ্যে এখন কি শিকার হওয়ায় জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার জিডি নম্বর: ১২৯৩, ট্রেকিং নম্বর: 9Z5PSG, তারিখ: ২০.১০.২৪।
এটি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগজনক একটি ঘটনা,যা গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার উপর প্রশ্ন তুলেছে।