চট্রগ্রামের বদ্দারহাট শাহ্ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক সংলগ্ন হোটেল গুলজার আবাসিকে লিপি (২৩) নামের তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে সিএমপির চাদগাঁও থানা পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে ক্রাইম সিন ইউনিট গিয়ে উক্ত মরদেহের আলামত সংগ্রহ করেন।
জানাযায় ফরহাদ (২৪) নামের একজন ব্যক্তি গত ১৯ অক্টোবর শনিবার রাত ১০:৩৪ ঘটিকায় লিপি নামের ওই তরুণীকে হোটেল গুলজার আবাসিকে ৩০৯ নাম্বারে একটি রুম ভাড়া নেয়। পরদিন দুপুর ১২ টায় হোটেলের কর্মচারী রুম চেক আউটে গেলে রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় এবং পরে ভিতরে ঢুকলে খাটে লাকি নামের ওই তরুণীর বিবস্ত্র মরদেহ দেখতে পান। ভিতরে লাকির মরদহ পড়ে আছে দেখে ভয় পেয়ে যান হোটেল কর্মচারীরা। তবে ফরহাদ নামক ওই ব্যক্তিকে রুমের আশেপাশে খুঁজে পাওয়া যায়নি কোথায়ও।
ফরহাদ হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ দেখেননি এবং সিসি ক্যামেরায়ও কোন ফুটেজ পাওয়া যায়নি। হোটেলের কর্মচারীর ভাষ্যমতে সম্ভবত ফরহাদ হোটেলের চতুর্থ তলায় উটে ছাদের উপর দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে এমনটা ধারণা করছেন তারা,কিন্তু প্রশ্ন থাকে ছাদের উপর দিয়ে যদি ফরহাদ পালিয়ে যায় তাহলে চতুর্থ তলায় কি কোন সিসি ক্যামেরা নেই নাকি হোটেল কর্তৃপক্ষ নিজেই ফরহাদকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়ে। এটি হোটেল কর্তৃপক্ষের কোন ষড়যন্ত্র নয় তো একটা মানুষ বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার ফুটেজ কেন থাকবে না। হোটেলের রেজিস্টার থেকে জানা যায় ফরহাদের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনের আমিনাবাদে কিন্তু এখানেও ঘোলাটে অবস্থা হোটেল রেজিস্টারে লাকির স্থায়ী অস্থায়ী কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর পরে হোটেল ম্যানেজার নুরু লাপাত্তা রয়েছে তাকে একাধিকবার ফোন করলেও পাওয়া ফোনে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য উক্ত হোটেলের দুই কর্মকর্তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশের ভাষ্যমতে মৃত্যুর আগে লাকিকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বাকিটা তদন্তের বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান চাঁদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আফতাব উদ্দিন।