মাত্র ১০৬ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার পর মিপুরে লড়াই করছেন বোলাররা। বিশেষ করে তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার ইতোমধ্যেই ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ।
৩৬ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ২৫ রানের লিড পেয়েছে সফরকারীরা। বাংলাদেশকে দ্রুত অলআউট করে প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগারদের মতোই সফরকারীদেরও শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই এইডেন মার্করামকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। এই পেসারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ রান করেছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
তিনে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২তম ওভারে তাইজুলের বলে ঠিকমতো খেলতে পারেননি তিনি। ব্যাটের কানা নিয়ে বল চলে যায় স্লিপে। সহজেই ক্যাচটি নেন সাদমান ইসলাম। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
ডেভিড বেডিংহামকেও ফিরিয়েছেন তাইজুল। ইনিংসের ২০তম ওভারের তৃতীয় বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন তাইজুল। জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করতে গিয়েছিলেন বেডিংহাম। তবে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। স্টাবসের মতোই থিতু হয়ে ফিরেছেন টনি ডি জর্জি। ২৮তম ওভারে তাইজুলের বলে জয়ের হাতে ধরা পড়ার আগে ৭২ বলে ৩০ রান করেছেন এই ওপেনার। একই ওভারে ফিরেছনে ব্রিটজেও। অফ স্টাম্পের ওপর পিচ করে বলটি সোজা ঢুকে গেছে। বলটি ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। এই উইকেট নিয়ে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাইজুল।
৩২তম ওভারে আরো একবার তাইজুলের আক্রমণ। এবার তার শিকার রায়ান রিকেলটন। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল ব্যাকফুটে কাট করার জন্য গিয়েছিলেন রিকেলটন। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেট কিপারের কাছে। ইনিংসে আরেকবার ৫ উইকেট পেলেন তাইজুল, তার টেস্ট ক্যারিয়ারে যা ১৩তম। ১০৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।