ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল মতবাদ দুর্নীতি, বৈষম্য ও জাহান্নামের পথ।
বিশ্বের প্রতিটি দেশে মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা গ্রহণ করে মানুষ আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরকে লিপ্ত হয়ে আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব অমান্য করে তাঁর সাথে কুফর করছে এবং নিজেদেরক সার্বভৌমত্বের মালিক, সংসদ সদস্যদেরকে আইনদাতা ও সরকার তথা মন্ত্রীদেরকে শাসনকর্তা মেনে মহান রব্ব আল্লাহর সাথে শিরক করছে। আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা চরম অপরাধ ও দুর্নীতি, যার পরিণতি দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন রকম আযাব-গজবের শিকার হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তি এবং আখিরাতের জীবনে নিশ্চিত ঠিকানা জাহান্নাম। মানব রচিত সকল মতবাদ চরম দুর্নীতি এবং কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা-জাহান্নামের পথ। মানুষের মাঝে বৈষম্যের মূল কারণ হলো দুর্নীতি।
সুতরাং গণতন্ত্র কিংবা অন্য কোন মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়।
‘ইসলামী সমাজ’ চট্টগ্রাম জেলা দায়িত্বশীল, জনাব মোঃ জামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চল-১ এর দায়িত্বশীল, মোঃ আজমুল হক এর সঞ্চালনায় আজ ১৯ অক্টোবর ২০২৪ইং, শনিবার বিকাল ৩ টায়, চট্টগ্রাম মহানগরের কাজীর দউড়ি আউটার স্টেডিয়াম মাঠে ‘ইসলামী সমাজ’ এর উদ্যোগ- “দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠনের উপায়” বিষয়ে অনুষ্ঠিত মানবাধিকার সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে প্রয়োজন নীতি ও আদর্শ।
মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর- এটাই মহাসত্য, এটাই ইসলামের মূল বিষয় (আল্লাহর প্রতি ঈমান)। গণতন্ত্রসহ মানব রচিত কোন ব্যবস্থাই নীতি ও আদর্শ নয়; সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ই একমাত্র নীতি ও আদর্শ। সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালনের সুযোগ রেখে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর শর্তহীন অনুসরণ ও অনুকরণে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধানের আনুগত্যের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত এবং পরিচালিত হলেই দুর্নীতি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, উগ্রতা, বিভিন্ন ইস্যুকেন্দ্রিক মানবতা বিরোধী অপরাধসহ সকল প্রকার বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে।
তিনি বলেন, কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ‘ইসলামী সমাজ’ মহাসত্যের ভিত্তিতে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি কুফরী ও শিরকী ব্যবস্থা গণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল মতবাদর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে, দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায় মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে যথাযথ ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আন্তরিক আহবান জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেদ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বশীল- মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোল্লা, আমীর হোসাইন এবং জেলা ও মহানগর পর্যায়ের দায়িত্বশীল- মোঃ রুহুল আমীন, হাফেজ ওসমান গণি ও রমজান আলী প্রমুখ।