বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ক্ষমতা ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার অভিযোগ ছিলেন আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির। একপর্যায়ে ১৪ দলের সঙ্গে মিলে তাদের নিষিদ্ধও করেছিল হাসিনার দল।
৫ আগস্টের আগে ও পরে হাসিনা তার পরিবারের লোকজন নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলও থেমে নেই কূটকৌশল। বিদেশে বসে একের পর এক কল রেকর্ড চালিয়েছেন তিনি। থেমে নেই তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজের এক পোস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে এমন অভিযোগ তুলে সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আমরা অনলাইনে দেখেছি কীভাবে ছাত্রদের আন্দোলনকে জামায়াত-ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে, এমনকি তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে তাদের কর্মকাণ্ডও আপনারা দেখেছেন। এখন তারা প্রকাশ্যে আমাদের মুক্তির সংগ্রামে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করছে। নিজেদেরকে রাজাকার হিসেবে নিজেরাই আবার জাতির সামনে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।’
মূলত অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনা পরিবারকেন্দ্রিক তৈরি হওয়া ৭টি দিবস এবং ৭ মার্চ জাতীয় দিবস বাতিল করায় এমন পোস্ট করেন জয়।
বাতিল হওয়া ৮ দিবস:
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
পরিপত্রে বলা হয়, উচ্চ আদালতের আদেশে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া, ৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে পালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়।