দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিত বিএনপি নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন করতে হবে দাবি করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অত্যাচার হামলা মামলা হয়রানি ও অত্যাচার নির্যাতনের কারণে আমি এবং আমরা অনেকেই বাড়ি ঘর ছাড়া ছিলাম। ব্যবসা বাণিজ্য এমনকি কোন কাজ কর্ম করতে পারি নাই।
আজ আমরা নিজ দেশে আসতে পেরেছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ত্যাগের মধ্য দিয়ে। যারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার নিপীড়নের ভয়ে প্রকাশ্যে বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারেনি, তারা যদি আবারো সক্রিয় হতে চায় তাহলে তাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। আর যারা আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায়-অত্যাচার নির্যাতনসহ্য করে প্রকাশ্যে বিএনপি’র রাজনীতি করেছে ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে সংগঠনকে গতিশীল রেখেছে তাদেরকে যথাযথ মুল্যায়ন করতে হবে। শুধু ফুল আর উপহারের ভিড়ে ত্যাগী নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না। পাশাপাশি নতুনদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিতে হবে। কেননা আমি আর মামু দিয়ে একটা রাজনৈতিক দল চলতে পারে না।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাটারা থানা বিএনপি আয়োজিত এক কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দখলবাজি, চাঁদাবাজি বন্ধ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এখনো ক্ষমতায় আসেনি। আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করবে বলে আমরা আশাকরি। কিন্তু দখলবাজি, চাঁদাবাজি করে বিএনপির ইমেজ ক্ষুণ্ন করা যাবে না। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা দলের সকল নেতা কর্মীকে মেনে চলতে হবে। দখলবাজ, চাঁদাবাজদের বিএনপিতে কোনো জায়গা হবে না।
দখল চাঁদাবাজিসহ যেকোন অপরাধ চিহ্নিত করতে ঢাকা ১১ আসনে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি তাদের মতো করে খোঁজখবর রাখছে। আপনারও সহযোগিতা করবেন। কোথাও দখল চাঁদাবাজির খবর পেলে কমিটিকে জানাবেন। আমরা অপরাধীকে আইনের হাতে তুলে দিব।
ঢাকা-১১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এম এ কাইয়ুম আরো বলেন, গত ১৭ বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন আমরা করেছি কিন্তু সফলতা পাইনি। আবাবিল পাখির মতো সফলতা এনে দিয়েছে আল্লাহর রহমতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান। যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছি। তাদের ও তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সম্মান শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তাদের পরিবারের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। তাদেরকেও সুফল পাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি (কর্মী সভা চলাকালীন সময় ও শনিবার রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন কালে) সাইফুল ইসলাম নিরব বলেন, ভাটারা এলাকাতে যারা বিএনপি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে আজ তারা অনেকেই নেই। তবে তাদেরকেও আমাদের স্মরণ করতে হবে। দলের ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সময়ের সাথে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে আমাদের বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মানতে হবে। দখল চাঁদাবাজি করা যাবে না। দলের সুনাম না হয়ে দুর্নাম হবে এমন কাজ করা যাবে না। যারা দলের নামে চাঁদাবাজি করবে তাদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে |
এসময় উক্ত কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এ জি এম শামসুল হক, মালয়েশিয়া বিএনপি’র সভাপতি বাদরুল রহমান, নগর নেতা হযরত কাজী ও আজহারুল ইসলাম সেলিমসহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা।