বাঘায় গ্রেফতার-আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গত ৯ দিনে আটক হয়েছে ১৭ জন। বর্তমানে অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা, স্থাপনা ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ সহিংসতার অভিযোগে দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশের ৫১টি মহানগর ও জেলায় প্রায় ৫৫০টি মামলা হয়েছে। বেশিরভাগ মামলার বাদী পুলিশ। এ ছাড়া ছাত্রলীগও অনেক মামলার বাদী।
এর ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর বাঘায় গত ১৮ জুলাই পুলিশ বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহম্মেদ রঞ্জু, বাঘা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফি, আবদুল লতিফ, রবিউল ইসলাম মেম্বার, মশিউর রহমান, সাবদুল ইসলাম, সাব্দারুল হোসেন, মোস্তাফিজুর, আবদু সালাম, আড়ানি পৌরসভার সাবেক ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আবদুল আওয়াল, জামায়াত সমর্থক শহিদুল ইসলামসহ ১৭ জন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান তিনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের জন্য ঘরে ঘরে তল্লাশি করা হচ্ছে। তাদের না পেয়ে আত্মীয়স্বজনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাঘা উপজেলার বিএনপি ও জামায়াত গোপন বৈঠক করছিল। এ অভিযোগে তাদের নামে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।