০+৩৬+৭+১+২৩+১২+১৪+৩৬+৯+১+১০+১৬+১৩ এগুলো শুধু সংখ্যাই নয়! এগুলো হলো বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাসের রান। তিনি যে সাম্প্রতিক সময়ে চরম ব্যর্থ তা এই স্কোরগুলো দেখলেই অনুমেয়। চলতি বছরের শুরু থেকে ১৩ ম্যাচে ১৩.৬৯ গড়ে মাত্র ১৭৮ রান করেন।
ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকার পরও বিশ্বকাপের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে লিটনকে খেলিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অথচ জাতীয় দলের সাবেক তারকা ওপেনার ইমরুল কায়েসের মতো তারকা ক্রিকেটার টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরও দল থেকে বাদ পড়ে যান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অনেক আগ থেকেই অফ ফর্মে লিটন। চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে সিলেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে (০,৩৬ ও ৭) ৪৩ রান করেন। এরপর জিম্বাবুয়ে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের সিরিজে (১,২৩ ও ১২) মাত্র ২৩ রান করেন। বিশ্বকাপের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও ফর্মে ফিরতে পারেননি লিটন। এক ম্যাচ খেলে করেন মাত্র ১৪ রান।
বিশ্বকাপের আগে ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকার পরও লিটনের উপর আস্থা রাখেন দল। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের সেই আস্থার মান রাখতে পারেননি লিটন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে টানা ৬ ম্যাচে লিটন ফেরেন ৩৬, ৯, ১, ১০, ১৬ ও ১৩ রানে। শ্রীলংকার বিপক্ষে লিটন করেন ৩৬ রান। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লিটন আউট হন যথাক্রমে ৯ ও ১ রান করে।
নেপালের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও নিজের সেরাটা দিতে পারেননি লিটন। ফেরেন ১২ বলে মাত্র ১০ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ২৫ বলে ১৬ রানে ফেরেন লিটন। আজ ভারতের বিপক্ষে সুপার এইটের দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন আউট হন ১০ বলে ১৩ রান করে।
একজন অভিজ্ঞ ওপেনার যদি বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে টানা ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকেন তাহলে দলের কি অবস্থা হতে পারে তা আর হলফ করে বলার দরকার নেই।
লিটনের মতো ওপেনারের কারণেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ফিকে।