রেমিট্যান্স বাড়ার পরও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ চলতি জুনের এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ৫ কোটি ডলার। গত মে মাসের শেষ দিনে নিট রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৮৭২ কোটি ডলার। গত বৃস্পতিবার দিনের শুরুতে ছিল ১ হাজার ৮৬৭ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি আয় কমে যাওয়া ও বকেয়া ঋণ পরিশোধের কারণে রিজার্ভ কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। রেমিট্যান্স বাড়ার ক্ষেত্রে এটি একটি রেকর্ড। গত বছরের মে মাসে বাড়েনি। বরং কমেছিল ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৫ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। গত বছরের মে মাসে এসেছিল ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ওই সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৫৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। এক মাসের যেমন রেমিট্যান্স বেড়েছে, তেমনি জুলাই মে এই ১১ মাসের হিসাবেও রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এদিকে মে মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে বেড়েছিল ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। তবে জুলাই মে সময়ের হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ওই সময়ে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে। গত অর্থবছরের ওই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে ২ দশমিক ০১ শতাংশ। ওই সময়ে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। ওই সময়ে আমদানি ব্যয় সাড়ে ১৫ শতাংশ কমলেও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়ে গেছে। যে কারণে ডলার আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হয়েছে। এতে কমেছে রিজার্ভ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে গত মে মাসের শেষ দিনে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলার। গত বৃহস্পতিবার তা কমে দাড়ায় ১ হাজার ৮৬৭ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে কমেছে ৫ কোটি ডলার। এদিকে গত এপ্রিলের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলার। এক মাস এক সপ্তাহের হিসাবে কমেছে ১২৯ কোটি ডলার। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকুর) দেনা পরিশোধের কারণে রিজার্ভ কমেছে।
এদিকে আগামী জুলাইয়ের আগে বড় ধরনের কেন শোধ করতে হবে না। এছাড়া জুনের শেষ দিকে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ মিলতে পারে ১১৫ কোটি ডলার। এসব কারণে জুনের শেষে রিজার্ভ প্রায় ১০০ কোটি ডলারের মত বেড়ে যাবে।