ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা কুমিল্লায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বেজমেন্ট ব্যবসায়ীদের ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ সানাউল হকের বিদায় সংবর্ধনা যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক অপসারণ দাবি জ্বালানি তেলের দাম নিয়ে সুখবর জেলা প্রশাসককে গাছের চারা উপহার দিলেন ইউএনও টঙ্গীতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের ফাঁসীর দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা

হামাসের কাছে থাকা আরও ৪ জিম্মি নিহত

গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে বন্দি আরও চার জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। নিহত চারজনকেই গত ৭ অক্টোবরের হামলার সময় ইসরাইল থেকে বন্দি করে নিয়ে গিয়েছিলেন হামাস।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরাইলি অভিযানের সময় এই চারজন একসঙ্গে মারা গেছেন। তবে তাদের লাশ এখনো হামাসের হাতে রয়েছে।

নিহত চারজন হলেন, ব্রিটিশ-ইসরাইলি নাদাভ পপলওয়েল (৫১), চাইম পেরি (৭৯), ইয়োরাম মেটজগার (৮০) ও আমিরাম কুপার (৮৫)। তারা সবাই পুরুষ।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, খান ইউনিস এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযানের সময় তারা চারজন একসঙ্গে নিহত হয়েছেন। তবে তিনি এই বিষয়ে আরও কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।

এর আগে গত মাসে হামাস জানিয়েছিল, এপ্রিলে ইসরাইলি হামলায় নাদাভ পপলওয়েল মারা গেছেন। তখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি তদন্ত করার কথা জানায়। তবে এখন পর্যন্ত নাদাভের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি যুক্তরাজ্য।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরাইল। ইতিমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরাইলি বন্দি রয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমন ধান কাটার পর আলু চাষে লাভের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী আত্রাইয়ের কৃষকেরা

হামাসের কাছে থাকা আরও ৪ জিম্মি নিহত

আপডেট সময় ১২:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে বন্দি আরও চার জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। নিহত চারজনকেই গত ৭ অক্টোবরের হামলার সময় ইসরাইল থেকে বন্দি করে নিয়ে গিয়েছিলেন হামাস।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরাইলি অভিযানের সময় এই চারজন একসঙ্গে মারা গেছেন। তবে তাদের লাশ এখনো হামাসের হাতে রয়েছে।

নিহত চারজন হলেন, ব্রিটিশ-ইসরাইলি নাদাভ পপলওয়েল (৫১), চাইম পেরি (৭৯), ইয়োরাম মেটজগার (৮০) ও আমিরাম কুপার (৮৫)। তারা সবাই পুরুষ।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারা এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, খান ইউনিস এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযানের সময় তারা চারজন একসঙ্গে নিহত হয়েছেন। তবে তিনি এই বিষয়ে আরও কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।

এর আগে গত মাসে হামাস জানিয়েছিল, এপ্রিলে ইসরাইলি হামলায় নাদাভ পপলওয়েল মারা গেছেন। তখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি তদন্ত করার কথা জানায়। তবে এখন পর্যন্ত নাদাভের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি যুক্তরাজ্য।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরাইল। ইতিমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরাইলি বন্দি রয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।