বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজেভাবে হেরেছে শ্রীলংকা। আগে ব্যাট করে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা এই রান করতে লেগে যায় ১৬ ওভার ২ বল। হার নিয়ে পরাজয়ের কারণ খণ্ডন করে প্রতিটি দলই। তবে শ্রীলংকার অভিযোগ ভিন্ন। বিশ্বকাপের ব্যস্ত সূচি, আবাসন ব্যবস্থা ও ক্লান্তিকর ভ্রমণ নিয়ে একগাদা অভিযোগ তুলেছেন দলটির স্পিনার মাহিশ থিকশানা।
বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে শ্রীলংকা। গ্রুপপর্বে তাদের চার ম্যাচের চারটি ভেন্যুই আলাদা। প্রতি ম্যাচ খেলে দ্রুত হোটেল ছাড়ার চিন্তা করতে হবে তাদের। পরের ম্যাচের ভেন্যুতে যত দ্রুত যাওয়া যায়, সেটাই বাড়তি চিন্তা তৈরি করেছে শ্রীলংকা দলের। সেক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে লংকানরা। তার ওপর শুরুর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শেষে থিকশানা বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমাদের প্রতিদিন (ম্যাচের পর) ছুটতে হবে কারণ আমরা চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলব। এটি অন্যায্য। ফ্লোরিডা থেকে মায়ামি আসতে বিমানবন্দরে আমাদের প্রায় ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখানে আসার পর রাত ৮টায় আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইট ভোর ৫টায়। এটি সত্যিই অন্যায্য। তবে মাঠে খেলার সময় এসব কোনো গুরুত্ব রাখে না।
বিশ্বকাপে প্রুপপর্বের চার ম্যাচের তিনটিই এক ভেন্যুত খেলবে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রেও একই। প্রোটিয়ারাও চার ম্যাচের তিনটি খেলবে এক ভেন্যুতে। এছাড়া ইংল্যান্ড দুই ভেন্যুতে খেলবে তাদের চার ম্যাচ। এক ভেন্যুতে যত বেশি ম্যাচ ততই বাড়তি সুবিধা দলগুলোর। বাড়তি ভ্রমণক্লান্তি, কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত অভ্যস্ততার জন্য চাপ থাকে না তখন। অন্যান্য দলগুলোকে যে সুবিধা পাচ্ছে তা শ্রীলংকা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ থিকসানার।
তিনি বলেন, আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই জায়গায় থাকার সুবিধা পাচ্ছে কিন্তু মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব মাত্র ১৪ মিনিটের। যেখানে আমাদের ছিল প্রায় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। আমি দলগুলোর নাম বলতে পারব না যারা একই ভেন্যুতে খেলবে। তাই তারা কন্ডিশন সম্পর্কেও জানে। তারা প্রস্তুতি ম্যাচও একই ভেন্যুতে খেলেছে। আর কেউ এটি পাবে না।
শ্রীলংকার পরের ম্যাচ আগামী ৮ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে ডালাসে। এরপর নেপালের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ হবে ফ্লোরিডায়। ফ্লোরিডায় অবশ্য প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছে শ্রীলংকা। ফ্লোরিডার ম্যাচটি খেলেই তাদের ধরতে হবে সেন্ট লুসিয়ার বিমান। চতুর্থ ম্যাচটি তারা খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ম্যাচ শেষ করেই পরের গন্তব্যে যাওয়ার যে তাড়াহুড়ো সেটাই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লংকান শিবিরকে।
থিকসানার ভাষায়, আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি ফ্লোরিডায়। সেখানে আমাদের তৃতীয় ম্যাচ। পরবর্তী বছরে হয়তো সবাই এটি নিয়ে চিন্তা করবে। কারণ আমি জানি, এই বছর আর কিছু পরিবর্তন হবে না। আমাদের ম্যানেজমেন্ট ফ্লাইটের বিষয়টি দেখার চেষ্টা করছে। কারণ আমরা এখানে খেলছি এবং সব কিছু গুছিয়ে রওনা দিতে হবে। মাথার মধ্যে সবসময় এটি কাজ করে যে, তাড়াহুড়োয় কিছু ফেলে এলাম না তো।